
ছবি: জনকণ্ঠ
নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার ১২ ঘন্টার মধ্যেই পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মৎস্য বন্দর মহিপুর ঘাটে ইলিশ নিয়ে ভিড়ল অন্তত ৭ ট্রলার। গতকাল বুধবার রাত ১২টায় অবরোধ শেষ হয় সামুদ্রিক মাছ আহরণের নিষেধাজ্ঞা। অথচ আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ৭-৮টি ফিশিং বোটের জেলেরা ইলিশ নিয়ে সাগর থেকে ফিরল।
ভোলার এফবি মা-২ ট্রলারের মাঝি হাশেম মিয়া মাত্র ৯ মণ ইলিশসহ কিছু অন্য মাছ আট লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন। এর মধ্যে এক কেজির চেয়ে বড় সাইজের ইলিশ বিক্রি করেন এক লাখ টাকা মণ দরে। একইভাবে বাশখালীর আল্লাহর দান বোটের নেছার মাঝিও ছোট বড় পাঁচ মণ ইলিশসহ বিভিন্ন মাছ মোট ছয় লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন। এখবর নিশ্চিত করেন মহিপুর মৎস্য আড়ত ব্যবসায়ী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাজু আহমেদ রাজা। স্থানীয় লাবিব ফিস, তালুকদার ফিসে এসব মাছ আজ বিক্রি হয়েছে।
তবে ইলিশের সাইজ নিয়ে জেলেসহ ট্রলার মালিকরা বেজায় খুশি রয়েছেন। এসব ট্রলার ৫-৬দিন আগেই সাগরে অবস্থান করছিল বলে মহিপুরের জেলেরা জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে এখানে মুখরোচক আলোচনা চলছে। কেবল সাগরে যাওয়া জেলেরাও বিষয়টি মিরাকল বলে মনে করছেন। এ নিয়ে নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। অপরদিকে গতকাল রাতে সাগর মোহনায় জাল ফেলে সাগর উত্তাল থাকায় জাল টেনে ফিরে আসা ওসমান মাঝি জানান, তিনি ইলিশসহ বিভিন্ন ধরনের প্রায় দেড়লাখ টাকার মাছ বিক্রি করেছেন। সাগর উত্তাল থাকায় তিনি গভীর সাগরে না গিয়ে জাল তুলে ফিরে এসেছেন।
যথাযথভাবে নিষেধাজ্ঞা মানা জেলেরা জানান, এসব জেলে ট্রলার অবরোধ শেষ হওয়ার ৭-৮ দিন আগেই গভীর সাগরবক্ষে মাছ শিকারে গেছেন। অবরোধ শেষ হতেই ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরতে শুরু করেছেন। এসব ট্রলার বুধবার সন্ধ্যায় কুয়াকাটা সংলগ্ন সাগরে নোঙর করে ছিল। আজ মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন ঘাটে খোলা ডাকে মাছ বিক্রি করে।
শিহাব