
ছবি: জনকন্ঠ
দেশের উত্তরাঞ্চলের আট জেলায় বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। মৃদু থেকে মাঝারি মানের এই তাপপ্রবাহে জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা বিরাজ করছে। আজ মঙ্গলবার (১০জুন) আবহাওয়া অফিসের তাপমাত্রা পরিমাপে বেলা ৩টায় উত্তরাঞ্চলের নীলফামারী জেলার তিস্তা নদী বিধৌত ডিমলা উপজেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস । যা গতকাল ছিল ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২৪ ঘন্টা ব্যবধানে তা বেড়েছে দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গতকাল সোমবার (৯ জুন) বেলা তিনটায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল নীলফামারীর সৈয়দপুরে ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেখানে দশমিক ১ ডিগ্রি কমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আজ ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সৈয়দপুর বিমান বন্দর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হাকিম।
তিনি বলেন উত্তরাঞ্চলের উপর দিয়ে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বাতাস না থাকায় জনপদজুড়ে তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে আভাস দেন। তিনি জানান,এবার উষ্ণতম মাস হিসেবে পরিচিত এপ্রিলে গরম অপেক্ষাকৃত কম ছিল। মে মাসের প্রথম সপ্তাহেও তাপমাত্রা মোটামুটি সহনীয় ছিল। তবে জুনে এসে উত্তরাঞ্চলে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। যা গত কয়েকদিন ধরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উত্তরাঞ্চলেই বয়ে যাচ্ছে। তবে এ অঞ্চলে এখনি বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
উত্তরাঞ্চলের অন্যান্য এলাকার মধ্যে আজ বিভাগীয় শহর রংপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭.৭, দিনাজপুরে ৩৭.২. পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ও কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৩৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর মধ্যে নীলফামারীর ডিমলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া এসব এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। ফলে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কাছাকাছি হওয়ার কারণে প্রচণ্ড দাবদাহ অনুভূত হচ্ছে।
তিস্তা নদী বিধৌত ডিমলা উপজেলায় ১০টি ইউনিয়ন রয়েছে। যার মধ্যে পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশাচাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী ইউনিয়নের তিস্তার চর বেষ্টিত। ফলে ওই সকল এলাকায় প্রচণ্ড দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। চরখরিবাড়ি চরের ইসমাইল হোসেন বলেন নদীর পানিও গরম হয়ে গেছে।নদীর বালুকণায় হাঁটাচলা কঠিন। ঝাড়শিঙ্গেশ্বর চরের হারুন মাঝি বলেন প্রচণ্ড গরমে চরের টিনের ঘরে থাকা যায় না। বাতাস নাই। যেন আগুনের ফুলকি ঝরছে।
তীব্র ভ্যাপসা গরম ও দাবদাহে উত্তরাঞ্চল জুড়েই জনজীবন কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। কর্মজীবী মানুষরা প্রয়োজনবশত বাইরে বের হলেও র্দীঘক্ষণ টিকতে পারছেন না। কৃষি কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদেরও একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। অতিরিক্ত গরমে ঘনঘন তৃষ্ণা পেয়ে বারবার পানি পান করতে হচ্ছে তাদের। ফলে শহরের শরবতের দোকানগুলোন ও তালের সাস ও ডাবের দোকানে ভিড় লক্ষ্য করা যায়।এদিকে তাপপ্রবাহের কারণে তীব্র গরমে নগর জীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা বিরাজ করছে। ঈদের থাকায় অনেকে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের হননি।
Mily