
ছবি: জনকণ্ঠ
ঈদুল আযহার টানা ছুটিতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে পর্যটকদের পদচারনায় মূখর হয়ে উঠেছে। ঈদে টানা ছুটি উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকরা ছুটে এসেছেন কমলগঞ্জের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে।
শুধু লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানেই নয়, উপজেলার মাধবপুর লেক, ক্যামেলীয়া লেক,শমসেরনগর গলফ্ মাঠ, হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধ, হামহাম জলপ্রপাতসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের পদচারনায় মূখর ছিল। বন্যপ্রানী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের তথ্যমতে গত চারদিনে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ৩ হাজার ৯শত ৪৬জন পর্যটক প্রবেশ করেন। পর্যটকদের প্রবেশ ফি থেকে ৪লক্ষ ৫০হাজার পঁচশত সত্তর টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়।ঈদের দিন পর্যটকের সংখ্যা কম থাকলেও ঈদের পর দিন থেকে পর্যটকদের উপস্থিতি ছিলো লক্ষণীয়।
ঢাকা থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসা পর্যটক রাহুল জানান, তীব্র গরমের মধ্যে প্রাশান্তীর ছোঁয়া পেতে লাউয়াছড়ার এসেছি অনেক ভালো লেগেছে গরম তেমন একটা অনুভূত হয়নি। চট্রগ্রাম, সিলেটসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ঘুরতে আসা পর্যটকরা জানান, ঈদের টানা ছুটি থাকায় পরিবার নিয়ে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান,মাধবপুর লেকসহ বিভিন্ন পর্যটন এলাকা ঘুরে দেখা হয়েছে।
সরেজমিনে মাধবপুর লেক ও লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে গিয়ে দেখা যায় পর্যটকদের বহনকারী গাড়ির দীর্ঘ সারি, টিকিট কাউন্টারের সামনে ছিল লম্বা লাইন, আবার অনেকে জাতীয় উদ্যানের প্রধান ফটকে ছবি তুলায় ব্যস্ত। তবে ট্যুরিস্ট গাইডরা জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার পর্যটক কিছুটা কম, এর কারণ হিসেবে তারা তীব্র গরমের বিষয়টি উল্লেখ করেন, এবার বিদেশী পর্যটকদেরও তেমন একটা দেখা যায়নি।
বন্যপ্রানী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগেররেঞ্জ কর্মকর্তা মো. কাজী নাজমুল হক এ প্রতিনিধিকে বলেন, ঈদের টানা ছুটিতে প্রচুর পর্যটক লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে এসেছেন,আগত পর্যটকরা যাতে নির্ভিগ্নে ঘুরে বেড়াতে পারে সেজন্য বনকর্মীদের পাশাপাশি ,সিএমসি'র সদস্যদের তদারকি, সিপিজি'র সদস্য ট্যুরিস্ট গাইডরা রয়েছেন, এছাড়া পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক টুরিস্ট পুলিশ ও কমলগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিম দায়ীত্ব পালন করছেন।
তিনি জানান, গত চারদিনে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ৩হাজার ৯শত ৪৬জন পর্যটক প্রবেশ করেন।পর্যটকদের প্রবেশ ফি থেকে ৪ লক্ষ ৫০হাজার পঁচশত সত্তর টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়।
ট্যুরিস্ট পুলিশ শ্রীমঙ্গল জোনের অফিসার ইনচার্জ মো. কামরুল হাসান চৌধুরী বলেন, ঈদের টানা ছুটিতে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সে লক্ষ্যে ট্যুরিস্ট পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জাফর মো. মাহফুজুল কবীর বলেন, ঈদুল আযহা'র ছুটিতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি প্রতিদিন থানা পুলিশের একটি টিম কাজ করছে,এছাড়া আমি নিজেও ট্যুরিস্টদের নিরাপত্তার বিষয়টি তদারকি করি।
শহীদ