
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় কোরবানীর পশুর হাটের শিডিউল ক্রয় নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২০জন আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশ ধাওয়া করে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং ১২ জনকে আটক করেন। বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফতুল্লার সস্তাপুর এলাকায় অবস্থিত সদর উপজেলা পরিষদ কার্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার রাত পৌনে দশটায় ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনা ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। কোন পক্ষই এখন পর্যন্ত অভিযোগ দেননি।
আহতরা হলেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার, বিএনপি নেতা লাভলু, ফতুল্লা থানা যুবদলের সদস্য সচিব সালাউদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আরিফ প্রধান, হানিফ, জাকিরসহ অন্তত ২০জন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সদরের গোপনগর ইউনিয়ন থেকে ৩০/৩৫ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী সকালে উপজেলায় আসে। এরপর তারা কিছু উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পাশের কক্ষের সামনে অবস্থান নেয়। আর কিছু উপজেলা পরিষদের মাঠে অবস্থান নেয়। যারা হাটের সিডিউল ক্রয় করে বাইরে বের হয় তাদেরই দেহ তল্লাশী করে শিডিউল রেখে দেয়। সকালে ফতুল্লা থানা বিএনপি নেতা লাভলুর উপর হামলা করে গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার রুবেলের অনুসারিরা। অভিযোগ রয়েছে, পুলিশের সামনে তাকে মাটিতে ফেলে কিল ঘুষি মেরে দরপত্র ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা। দুপুর ১২টায় একই হাটের দরপত্র কেনেন জাকির নামের আরেক ব্যবসায়ী। তিনিও দরপত্র নিয়ে বাইরে বের হওয়ার সাথে সাথেই তার উপর হামলা করে রুবেল মেম্বারের অনুসারিরা। বিকেল চারটায় বৃষ্টির মধ্যে একই হাটের দরপত্র কেনা নিয়ে পুনরায় রুবেল মেম্বারের অনুসারিরা ফতুল্লা থানা যুবদলের সদস্য সচিব সালাউদ্দিন ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আরিফ প্রধানের উপর হামলা করে।বিকেলে ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার আসেন উপজেলায়। তখন তার সামনে ওই সন্ত্রাসী উশৃঙ্খলাতা করলে সে প্রতিবাদ করেন। এসময় সন্ত্রাসীরা তাকেও মারধর করেন। রুহুল আমিন শিকদারের লোকজন জানতে পেরে ঘটনাস্থলে আসলে দুই গ্রুপের সংঘাত বেধে যায়। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তখন ওই সন্ত্রাসীদের মধ্যে কিছু পালিয়ে যায় আর ১২জন উপজেলা কার্যালয়ের অফিস কক্ষে আশ্রয় নেয়। এসময় পুলিশ তাদের আটক করেন। তাৎক্ষণিকভাবে আটকদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, সদরের ১৫টি পশুর হাটের শিডিউল বিক্রি হয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে চড় থাপ্পড় কিল ঘুষি দেয়ার ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে কিছু উশৃঙ্খল যুবক পরিস্থিতি অশান্ত করে। ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। নাম-পরিচয় জানার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। তবে রাত পৌনে দশটায় পর্যন্ত কোনো পক্ষই অভিযোগ দেইনি।
রাজু