পৃথিবীতে লাখো প্রজাতির প্রাণী বাস করে, যাদের মধ্যে কেউ জলে, কেউ স্থলে বাঁচে। কিছু প্রাণী মানুষ গৃহপালিত করেছে, আবার অনেক বনজঙ্গলে স্বতন্ত্র জীবনযাপন করে। ছোটবেলা থেকেই শিয়ালকে বলা হয় সবচেয়ে চালাক ও ধূর্ত প্রাণী হিসেবে। তবে প্রশ্ন জাগে, এই কল্পকাহিনী নাকি সত্যিই শিয়াল একটি বুদ্ধিমান প্রাণী?
বিজ্ঞান ও প্রকৃতির পর্যবেক্ষণে জানা গেছে, শিয়াল সত্যিই অসাধারণ বুদ্ধিমত্তার অধিকারী। শিকারি প্রাণীদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার কৌশলে তারা দারুণ দক্ষ। এমনকি শিয়াল এতটা চালাক যে সিংহের মতো শক্তিশালী শিকারীর কাছ থেকেও খাবার চুরি করতে পারে।
শিয়ালের এক বিশেষ গুণ হলো মানুষের মতো দ্রুত শেখার ক্ষমতা। সাধারণত তারা ছোট ছোট প্রাণী ও পাখি শিকার করে। কিন্তু শিকার ছাড়াও শিয়ালের আরেক অনন্য দিক হলো—নিজের খাবার গোপন স্থানে রেখে যাওয়া, যা তাদের সমস্যা সমাধানে দক্ষ করে তোলে।
শিয়াল নিঃশব্দে চলাফেরা করে এবং যে কোনো পরিবেশে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। তারা শুধু শিকার করে না, বরং অন্য প্রাণীর খাবারও চুরি করে খায়। আকারে ছোট হলেও, ওজন ২ থেকে ১৫ কেজির মধ্যে হলেও, শিয়াল চটপটে ও দ্রুতগামী; ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটারও ছুটতে পারে।
রাতে সক্রিয় এই প্রাণীটি সর্বভুক। মাংসের পাশাপাশি লতা-পাতা খাওয়ার অভ্যাস আছে তাদের। বিপদের সময় গাছে উঠে আত্মরক্ষা করে থাকে শিয়াল। এর এসব বৈশিষ্ট্যের জন্য শিয়ালকে জঙ্গলের সবচেয়ে ধূর্ত প্রাণী বলে অভিহিত করা হয়।
রাজু
