
রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজে শহীদ মামুন হলের সিট বণ্টনকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৩০ মে) সন্ধ্যায় কলেজ ক্যাম্পাসের শাকিল চত্বরের সামনে বৈশাখী হোটেলের কাছে এ সংঘর্ষ ঘটে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হন।
জানা যায়, শহীদ মামুন ছাত্রাবাসের সিট বরাদ্দের তালিকা প্রকাশের পর ছাত্রদলের বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দেয়। অভিযোগ রয়েছে, কলেজ প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে ছাত্রদল নেতা ও কলেজ শাখার সদস্য সচিব সেলিম রেজা তাঁর অনুসারীদের অধিকাংশ সিট নিশ্চিত করেন। এতে ছাত্রদলের অপর অংশ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং ঘটনার জেরে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
সংঘর্ষে আহত হন ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ, আক্কাসুর রহমান আঁকী, হল ছাত্রদলের সভাপতি তোহা আকন্দ, আহ্বায়ক সদস্য রাকিব হাসান, রেজাউল করিম ও শুভ সরকার।
হল ছাত্রদলের সভাপতি তোহা আকন্দ অভিযোগ করে বলেন, “আমার ওপর যুগ্ম আহ্বায়ক জিহাদ হাওলাদার ও শিহাব উদ্দিন সিয়ামের নেতৃত্বে জলতরঙ্গ ইউনিটের সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করেছে। তারা ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারের জন্যই এ হামলা করেছে।”
যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ অভিযোগ করেন, “জলতরঙ্গ ইউনিটের কর্মীরা আমার ওপর হাতুড়ি দিয়ে হামলা চালিয়েছে। তারা ক্যাম্পাসে কর্তৃত্ব স্থাপনের চেষ্টা করছে।”
অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত জিহাদ হাওলাদার বলেন, “আমি কোনো হামলা করিনি, বরং মারামারি থামানোর চেষ্টা করেছি। আমরা জানতে চেয়েছিলাম, কেন আমাদের ছেলেরা হলে সিট পাচ্ছে না। আমার কলেজের অনেক ছোট ভাই সিট পাওয়ার যোগ্য, তারা কেন বঞ্চিত হবে?”
এ বিষয়ে ছাত্রদল সদস্য সচিব সেলিম রেজা বলেন, “আমি হলে সিট বরাদ্দ দেওয়ার দায়িত্বে নেই। এটি কলেজ প্রশাসনের বিষয়। জলতরঙ্গ ইউনিটের নেতারা ক্যাম্পাসে আধিপত্য কায়েম করতে চাইছে। এই হামলা জলতরঙ্গ ইউনিটের প্রতিষ্ঠাতা হাসানের নির্দেশে, জিহাদ হাওলাদার ও সিয়ামের নেতৃত্বে চালানো হয়।”
নুসরাত