
থাইরয়েড স্টর্ম (বা *থাইরোটক্সিক ক্রাইসিস*) হলো একটি জীবনসংকটজনক অবস্থা, যখন থাইরয়েড গ্রন্থি হঠাৎ অতিরিক্ত হরমোন নিঃসরণ করে। এটি সাধারণত অসুচিকিৎসিত বা অব্যবস্থাপিত হাইপারথাইরয়েডিজম থেকে ঘটে এবং তাৎক্ষণিক হাসপাতাল চিকিৎসা ছাড়া প্রাণঘাতী হতে পারে।
প্রধান লক্ষণ:
১. খুব উচ্চ জ্বর (১০০°F বা তার বেশি)
২. অস্বাভাবিক দ্রুত হৃদস্পন্দন (১৪০ bpm-এর বেশি)
৩. প্রচণ্ড উদ্বেগ, উত্তেজনা বা বিরক্তি
৪. বিভ্রান্তি, অজ্ঞান হওয়া পর্যন্ত
৫. অতিরিক্ত ঘাম ও গরম সহ্য করতে না পারা
৬. বমি, ডায়ারিয়া, পেটব্যথা
৭. গুরুতর ক্ষেত্রে হৃদযন্ত্রের ব্যর্থতা বা জন্ডিস
এটি কেমন অনুভূত হয়?
হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, জ্বর, উদ্বেগ ও বমি ভাবসহ রোগী দুর্বল, অসহায় ও বিভ্রান্ত বোধ করে। অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া জরুরি।
ঝুঁকির কারণ:
অসুচিকিৎসিত হাইপারথাইরয়েডিজম (যেমন: গ্রেভস ডিজিজ)
৪০-এর আশেপাশের বয়সী নারী
বিষাক্ত থাইরয়েড গ্রন্থি বা নডিউল
চিকিৎসা:
হাসপাতালে ভর্তি করে নিম্নোক্ত ব্যবস্থাগুলো নেওয়া হয়—
১. IV তরল ও ইলেকট্রোলাইট: পানিশূন্যতা দূর করতে
২. ঠাণ্ডা রাখার পদ্ধতি: শরীরের তাপমাত্রা কমাতে
৩. অক্সিজেন থেরাপি: শ্বাসপ্রশ্বাসে সহায়তা
৪. বিটা ব্লকার (IV): হৃদস্পন্দন কমাতে
৫. অ্যান্টি-থাইরয়েড ওষুধ (থায়োনামাইডস): হরমোন উৎপাদন কমাতে
৬. আয়োডিন: হরমোন নিঃসরণ থামাতে
৭. স্টেরয়েড: প্রদাহ ও হরমোন রূপান্তর রোধে
বি.দ্র.: হাইপারথাইরয়েড রোগীদের যেকোনো নতুন উপসর্গে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
মুমু