
স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে রান্নায় অতিরিক্ত তেল ব্যবহারে অবশ্যই সীমাবদ্ধতা আনা উচিত। ওবেসিটি, হৃদরোগসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যার সঙ্গে বাড়তি তেল খাওয়ার সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। তবে কম তেল ব্যবহার মানেই খাবারের স্বাদ কমবে—এমনটা নয়। বরং, সঠিক পরিমাপে তেল ব্যবহার করলে পুষ্টিমান বজায় থাকে এবং স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো।
রান্নায় কম তেল ব্যবহার করার জন্য বিশেষজ্ঞরা কয়েকটি কার্যকর টিপস দিয়েছেন, যা মেনে চললে সুস্বাদু খাবার তৈরি করা সম্ভব এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি কমানোও যায়।
১. ননস্টিক প্যান ব্যবহার করুন:
ননস্টিক প্যানে অল্প তেল দিয়েই খাবার ভালোভাবে রান্না করা যায়।
২. তেল পরিমাপ করুন:
তেলের বোতল থেকে সরাসরি ঢাললে অতিরিক্ত তেল ব্যবহার হয়। তাই চামচ বা মেজারমেন্ট কাপ দিয়ে পরিমাপ করে তেল ব্যবহার করা উচিত।
৩. বেক করে রান্না করুন:
অল্প তেল ও মসলা দিয়ে মাছ ও মাংস বেক করলে খাবার সুস্বাদু হয় এবং তেলের ব্যবহারও কম হয়।
৪. ম্যারিনেট করুন:
রান্নার আগে দই ও মসলা দিয়ে মাছ-মাংস ম্যারিনেট করলে স্বাদ বাড়ে এবং তেল প্রয়োজন কমে।
৫. ভাপা রান্না করুন:
ভাজার আগে মাছ, মাংস বা ডিম ভাপিয়ে নিলে রান্নায় কম তেল লাগে এবং সময়ও কম লাগে।
৬. সেদ্ধ করে ভাজুন:
সবজি, মাছ ও মাংস সরাসরি ভাজার পরিবর্তে আধা সেদ্ধ করে নিলে তেলের ব্যবহার কম হয় এবং ভাজাও দ্রুত হয়।
৭. তেল গরম করে খাবার দিন:
তেল পর্যাপ্ত গরম না হলে খাবার অতিরিক্ত তেল শোষণ করে, তাই গরম তেলে খাবার দেওয়া উচিত।
৮. এয়ার ফ্রায়ার ব্যবহার করুন:
এয়ার ফ্রায়ার গরম বাতাস ব্যবহার করে কম তেলে সুস্বাদু খাবার তৈরি করে, যেমন ফ্রাই, চিকেন উইংস ও সবজি।
৯. হাতে মাখা মশলা ব্যবহার করুন:
মাছ, মাংস, ডাল বা সবজি আগে থেকেই মশলা দিয়ে মাখিয়ে রেখে কম তেলে রান্না করা যায়।
এই সহজ টিপসগুলো মেনে চললে স্বাস্থ্যকর রান্নার পাশাপাশি খাওয়ার স্বাদও বজায় থাকে। তাই স্বাস্থ্য সচেতন জন্য কম তেলে রান্না করাটা জরুরি।
রাজু