ছবি: সংগৃহীত
যুব চীনা শিক্ষার্থীদের জন্য হার্ভার্ডে ভর্তি হওয়া ছিল এক সময় স্বপ্নপূরণের সমান। বিশেষ করে যারা উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমাতে চায়, তাদের কাছে হার্ভার্ড মানে ছিল বিশ্বমানের শিক্ষা, মুক্ত চিন্তা এবং মেধা ভিত্তিক অগ্রগতির প্রতীক।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাংঝো জিয়াং বলেন, শৈশব থেকেই হার্ভার্ড আমার কাছে উচ্চশিক্ষার শীর্ষ প্রতীক ছিল। এর নাম, একাডেমিক স্বাধীনতা এবং মেধার মূল্যায়ন সত্যিই অতুলনীয়।
কিন্তু সেই স্বপ্ন এখন মুখ থুবড়ে পড়তে পারে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মার্কো রুবিও ঘোষণা দিয়েছেন—চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, কিংবা গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাক্ষেত্রে অধ্যয়নরত অনেক চীনা শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা শুরু করবে যুক্তরাষ্ট্র।
চীনা শিক্ষার্থীরা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম গোষ্ঠী, প্রথম অবস্থানে রয়েছে ভারতীয়রা। আনুমানিক ২,৮০,০০০ চীনা শিক্ষার্থী মার্কিন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। নতুন ঘোষণার পর, তাদের মধ্যে বহু শিক্ষার্থী উৎকণ্ঠায় ভুগছেন—তাদের পাঠক্রম কি মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাবে? তারা কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে দেখা হবে?
হার্ভার্ডের আরেক শিক্ষার্থী ঝাং কাইচি বলেন, চীনা শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রে ক্রমাগত ঝুঁকির মধ্যে আছে। তাদের ওপর নিপীড়ন ও বৈষম্য চলে, এবং বহু মার্কিন নীতিই সরাসরি চীনা শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে বানানো হয়েছে।
চীনা শিক্ষার্থীরা সাধারণত পুরো টিউশন ফি দিয়ে পড়াশোনা করেন, যা বহু বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আয়–উৎস হিসেবেও কাজ করে। এ কারণে, শিক্ষাবিদ ও বিশ্লেষকেরা মনে করছেন—এই ভিসা বাতিল নীতি শুধু ব্যক্তিগত নয়, প্রাতিষ্ঠানিকভাবেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক শিক্ষাক্ষেত্রে রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ফরিদ
