ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০১ জুন ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বিয়ের উপহারে বোমা পাঠিয়ে হত্যা: কলেজ প্রিন্সিপালের যাবজ্জীবন সাজা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২:০৪, ৩০ মে ২০২৫; আপডেট: ২২:০৬, ৩০ মে ২০২৫

বিয়ের উপহারে বোমা পাঠিয়ে হত্যা: কলেজ প্রিন্সিপালের যাবজ্জীবন সাজা

ছবিঃ এনডিটিভি

ওড়িশার আদালত সাত বছর আগে ঘটে যাওয়া ভারতের প্রথম পার্সেল বোমা বিস্ফোরণে দোষী সাব্যস্ত প্রাক্তন কলেজ প্রিন্সিপাল পুঞ্জিলাল মেহেরকে বুধবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি, যখন সদ্য বিবাহিত সৌম্য শেখর সাহুর পরিবার বিয়ের কিছুদিন পর একটি উপহারের পার্সেল পায়। সাহু পার্সেলটি খোলার সাথে সাথেই বিস্ফোরণ ঘটে, তাতে তিনি ও তাঁর দাদীজান জেমামণি সাহু ঘটনাস্থলেই নিহত হন। সাহুর স্ত্রী রীমা মারাত্মক আহত হন।

পুলিশ ও তদন্তকারীরা জানান, বলাঙ্গীর জেলার পাটনাগড়ের জ্যোতি বিকাশ জুনিয়র কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ পুঞ্জিলাল মেহের পেশাগত হিংসা থেকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটান, কারণ সাহুর মা তাঁকে অধ্যক্ষ পদ থেকে সরিয়ে দেন।

বলাঙ্গীরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত মামলাটিকে "জঘন্য অপরাধ" হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও, সেটিকে "সবচেয়ে বিরল" পর্যায়ে ফেলে মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। মেহেরকে ৫০,০০০ টাকা জরিমানাও করা হয়।

বিস্ফোরণের শক্তি এতটাই বেশি ছিল যে, সাহুর বাড়ির দেয়ালে ফাটল ধরে যায় এবং তাঁর বাবা-মা চরম মানসিক বিপর্যয়ে পড়েন।

প্রাথমিকভাবে স্থানীয় পুলিশ তদন্ত করলেও জনরোষের মুখে পরে তা অপরাধ তদন্ত শাখার (Crime Branch) কাছে হস্তান্তর করা হয়। তৎকালীন আইজি অরুণ বোত্রার নেতৃত্বে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, পার্সেলটি ছত্তিশগড়ের রায়পুর থেকে পাঠানো হয়েছিল। বলাঙ্গীর পুলিশ একটি বেনামী চিঠিও পায় যেখানে প্রতারণা ও আর্থিক ক্ষতিকে হত্যার সম্ভাব্য উদ্দেশ্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল।

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে অপরাধ শাখা মেহেরকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, কলেজ অধ্যক্ষ পদ থেকে অপসারণের পর প্রতিশোধ নিতে রায়পুরে গিয়ে নাম, মোবাইল বা ট্রেন টিকিট ছাড়া পার্সেল পাঠায় যাতে তার অবস্থান ধরা না পড়ে।

তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা আইজি অরুণ বোত্রা গত বছর ডিসেম্বর মাসে ৬০তম সাক্ষী হিসেবে আদালতে সাক্ষ্য দেন এবং বিস্ফোরণের ঘটনাক্রম প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেন।

সূত্র: এনডিটিভি

মুমু

আরো পড়ুন  

×