ছবিঃ সংগৃহীত
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কবিতীর্থ দৌলতপুর কবি কাজী নজরুল ইসলামের জীবন সৃষ্টিতে এক অনন্য অধ্যায়। এখানেই নার্গিসের ভালবাসার আগুনের পরশমানিকের ছোঁয়ায় বেজেছিল নজরুলের ‘অগ্নিবীণা’। ১৯২১ সালে কবি কাজী নজরুল তার বন্ধু আলী আকবর খানের সঙ্গে এই দৌলতপুর গ্রামে আসেন। এখানকার সবুজ-শ্যামল পরিবেশ কবিকে দারুণভাবে আচ্ছন্ন করে। এখানে কবি রচনা করেছেন বহু কবিতা, গান ও ছড়া। দৌলতপুরে কবি নজরুল জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় অতিবাহিত করেছেন।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় এবং কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় গতকাল রবিবার (২৫ মে) বিকালে কুমিল্লায় জাতীয় পর্যায়ে ৩ দিনব্যাপী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উৎসবের দ্বিতীয় দিনে জেলার মুরাদনগর উপজেলার কবিতীর্থ দৌলতপুরে নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার এসব কথা বলেন।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খাঁন।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, নজরুল গবেষক ড. আলী হোসেন চৌধুরী, নজরুল গবেষক প্রফেসর ড. আনোয়ারুল হক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগি অধ্যাপক ড. ইয়াহিয়া মান্নান, মুরাদনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাকিব হাছান খাঁন প্রমুখ।
পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা মনোজ্ঞ সঙ্গীত, কবিতা ও নৃত্য পরিবেশন করেন।
এদিকে আজ ২৭ মে কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হবে কবি নজরুলের ১২৬তম জন্মবার্ষিকীর সমাপনী অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি হিসে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
ইমরান
