ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৯ মে ২০২৫, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ফটিকছড়িতে চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত কোরবানির পশু প্রস্তুত

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফটিকছড়ি:

প্রকাশিত: ০৭:৫৬, ২৮ মে ২০২৫

ফটিকছড়িতে চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত কোরবানির পশু প্রস্তুত

পবিত্র ঈদুল আজহা কোরবানির দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই জমে উঠছে ফটিকছড়িতে কোরবানি পশু বেচাকেনা। এবার চাহিদার চেয়ে বেশি কোরবানি পশু প্রস্তুত রয়েছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৪৭ হাজারের মতো।

কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৬৯ হাজার ৪১৯টি। এর মধ্যে ৩৪ হাজার ২১১টি গরু, ৪ হাজার ১১২টি মহিষ, ২৮ হাজার ৭৪০টি ছাগল, ২ হাজার ৩৫৬টি ভেড়া। চাহিদার তুলনায় কোরবানিযোগ্য পশুর যোগান বেশি রয়েছে। এর ফলে পশুর মূল্য নিয়ে নৈরাজ্য হওয়ার সম্ভাবনা কম। তারপরেও পশুসম্পদ বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসন পশু কেনাবেচায় নৈরাজ্য ঠেকাতে মাঠে থাকবে বলে জানা গেছে।

এদিকে আগামী কোরবানির ঈদ উপলক্ষে মৌসুমি গরু ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গরু আনতে শুরু করেছে। এছাড়া বিভিন্ন খামারেও যথেষ্ট গরু- মহিষ এনেছে খামারিরা। এছাড়া বিক্রির জন্য অনেকে গরু-মহিষ লালন পালন করেছে। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে গিয়ে দেখা যায় স্থানীয়দের পাশাপাশি, মৌসুমি ব্যবসায়ীরাও যথেষ্ট গরু বাজারে আনছে। বিক্রিও হচ্ছে মোটামুটি।

বিক্রেতা ও ক্রেতারা জানান, বিক্রি জমে উঠবে আর কয়েকদিন পর থেকে। এখন ক্রেতা-বিক্রেতা মূল্য যাচাই করছে। জারিয়া এগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ সাহাব মিয়া বলেন, আমার খামারে ১২০টি গরু লালন-পালন করেছি। বাজারে না তুলে খামার থেকেই বিক্রি করার ইচ্ছে আছে। নাজিরহাট পৌরসভার ডাইনজুরী এলাকার মোহাম্মদ জসিম নামের যুবক বলেন, বিক্রির উদ্দেশ্যে আমি চারটি গরু বড় করেছি। সামনে বাজারে তুলব।

নানুপুর ইউনিয়নের ঢালকাটা গ্রামের বাবুল মিস্ত্রীর বাড়িতে মো. রাসেদ নামের যুবক একটি পাকিস্তানি শাহীওয়াল ও একটি অস্ট্রেলিয়ার হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান জাতের গরু লালন-পালন করে বড় করেছে। ‘কালা মানিক’ নামের গরু দুইটির দাম ১১ লাখ করে ২২ লাখ টাকা হাঁকাচ্ছেন। এদিকে কোরবানি উপলক্ষে বিভিন্ন সড়কে কোরবানি পশুর হাট বসে চলাচলে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এবার মহাসড়কে এবং কোনো অস্থায়ী গরুর হাট বসবে না। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মোমিন বলেন, আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে চাহিদার চেয়ে বেশি পশু প্রস্তুত রয়েছে। তিনি আরও বলেন, সব পশুর হাটে উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে যেখানে প্রয়োজন সেখানে ভ্রাম্যমাণ ভেটেরিনারি ক্লিনিক বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সেখানে ভেটেরিনারি সার্জন থাকবে, তাঁরা পশুদের চিকিৎসা দেবেন।

আফরোজা

×