কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে বাংলাদেশে নাগরিকদের পুশ-ইন করার চেষ্টা করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধার মুখে পড়ে বিএসএফ। একপর্যায়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাদের নিয়ে আবার ফিরে যায় বিএসএফ সদস্যরা।
বুধবার (২৮ মে) রাত আনুমানিক ৯টা ৫০ মিনিটে রৌমারী উপজেলার রৌমারী সদর ইউনিয়নের চান্দারচর সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
রৌমারী সদর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম বলেন, “চান্দারচর সীমান্তের ১০৬৪ নম্বর মেইন পিলারের কাছে গাবগাছ এলাকায় ভারতের আসাম রাজ্যের শাহাপাড়া বিওপির বিএসএফ সদস্যরা কিছু নাগরিককে ধরে এনে পুশ-ইনের চেষ্টা করছিল। বিষয়টি দেখে স্থানীয় এলাকাবাসী চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করে।”
তিনি আরও বলেন, “বাধার মুখে পড়ে বিএসএফ পুশ-ইনে ব্যর্থ হয় এবং একপর্যায়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নাগরিকদের নিয়ে ফিরে যায়।”
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “রাতে যেকোনো সময় বিএসএফ সীমান্ত দিয়ে ওই নাগরিকদের বাংলাদেশে পুশ-ইন করতে পারে।”
চান্দারচর সীমান্তের স্থানীয় বাসিন্দা মামুন বলেন, “সীমান্তে হঠাৎ বিকট শব্দ শুনে ঘর থেকে বের হয়ে দেখি সাদা ধোঁয়া উঠছে। আশপাশের লোকজন ছুটে এসে সীমান্তে জড়ো হয়। পরে দেখি বিএসএফ সীমান্তের ওপারে কিছু নাগরিককে এনে রেখে দিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “ঘটনার পর বিজিবি সদস্যরা এসে আমাদের অনুরোধ করেন যেন আমরা সীমান্ত এলাকায় অবস্থান না করি। পরে সবাই বাড়ি ফিরে যায়।”
রৌমারী সদর কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার সোহেল রানা বলেন, “আমাদের টহল দলের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএসএফের কয়েকটি গাড়ি সীমান্তের ওপারে কাঁটাতারের কাছে এসে দাঁড়িয়েছিল। বিষয়টি দেখে বাংলাদেশের গ্রামবাসী হৈ-হুল্লোড় করে। তবে পুশ-ইনের মতো কোনও ঘটনার প্রমাণ মেলেনি। এছাড়া বিএসএফ ককটেল বিস্ফোরণও ঘটায়নি।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা সীমান্ত এলাকায় ২৪ ঘণ্টা টহলে রয়েছি, যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।”
সজিব
