
ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরই সিলেটের পর্যটন এলাকাগুলো মুখর থাকে দেশি-বিদেশি পর্যটকে। কিন্তু চলমান ঝড়বৃষ্টি ও অনাকাঙ্ক্ষিত আবহাওয়ার কারণে এবারের ঈদ মৌসুমে পর্যটকদের আনাগোনা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন সিলেটের পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি ও বজ্রঝড়ের কারণে সিলেটের জাফলং, রাতারগুল, বিছনাকান্দি, মাধবকুণ্ড, লালাখালসহ অন্যান্য জনপ্রিয় পর্যটন স্পটগুলোয় পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে কী না এটি আশঙ্কাজনক। এতে হোটেল-রিসোর্ট, নৌকা ভাড়া, স্থানীয় গাইড, পরিবহন ও খাবার দোকানগুলোতে দেখা দিয়েছে আয় সংকট।
স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ী বলেন, “সাধারণত ঈদের সময়টাতে আমরা প্রচুর পর্যটকের আশায় প্রস্তুতি নিই। কিন্তু এ বছর আবহাওয়া একেবারেই অনুকূলে নয়।
তিনি আরও জানান, বিগত বছরগুলোতে ঈদের মৌসুমে প্রতিদিন হাজারো পর্যটক সিলেটে আসলেও এবারের বিষয়টি সম্পূর্ণ চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি সূত্র জানায়, আবহাওয়ার সতর্কতা বিবেচনায় রেখে পর্যটন এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে। নদী বা ঝরনামুখী এলাকাগুলোতে পর্যটকদের সাবধানতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী কয়েকদিন ধরে আরও বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে স্বাভাবিক পর্যটন প্রবাহ ব্যাহত হওয়া অব্যাহত থাকতে পারে।
সিলেট চেম্বার অব কমার্সের পর্যটন শাখার একজন সদস্য জানান, ঈদের মৌসুমেই মূলত সিলেটের পর্যটন ব্যবসায়ীরা বছরের বড় একটি আয়ের সুযোগ পান। এবারের পরিস্থিতিতে যারা ঋণ নিয়ে রিসোর্ট বা হোটেলে বিনিয়োগ করেছেন, তারা চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
পর্যটক ব্যবসায়ীদের দাবি, সরকার বা স্থানীয় প্রশাসন পর্যটন উন্নয়নের পাশাপাশি দুর্যোগকালীন সহায়তা প্রদানের কোনো নীতিমালা গ্রহণ করলে অন্তত এমন সময়ে কিছুটা সুরাহা হতো।
রাজু