
জনদুর্ভোগ লাঘবে দক্ষিণ বঙ্গের উপকূলীয় জেলা ভোলা ও পটুয়াখালীর মধ্যে ফেরিযোগাযোগ স্থাপনের লক্ষে কাজ করছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের উদ্যোগও নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, ভোলার চরফ্যাশনের দুলারহাট থানার ঘোষেরহাট থেকে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার হাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চালুর দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়ার আবেদনের পর এর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি ইস্যু করা এক চিঠিতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ ওই রুট সরেজমিনে পরিদর্শন পূর্বক ত্রি-বিভাগীয় কমিটির মতামত চায়। কমিটির সদস্যরা হলেন: বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের বরিশাল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এবং পটুয়াখালী ও ভোলা জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী।
চিঠিতে আরো বলা হয়, ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানার ঘোষেরহাট থেকে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার হাজিরহাট ফেরি চালুর লক্ষ্যে ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছেন। এমতাবস্থায়, বিষয়টির ওপর সরেজমিন পরিদর্শন পূর্বক ত্রি-বিভাগীয় কমিটির মতামত প্রধান প্রকৌশলীর দফতরে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে এতদসঙ্গে পাঠানোর নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এর আগে অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া তার আবেদনে বলেন, ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানার ঘোষেরহাট এলাকাটি ভোলা জেলা সদর ও বরিশাল বিভাগীয় শহর থেকে শতাধিক কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্ব ও দুর্গম এলাকা হওয়ায় এখানকার বাসিন্দাদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এখানকার উৎপাদিত কৃষিপণ্য, আহরিত ইলিশসহ অন্যান্য মৎস্য সম্পদ কিংবা সাধারণ মানুষ পরিবহন যথেষ্ট কষ্টসাধ্য, সময় সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল। জেলা শহর ভোলা ও মূলভূখণ্ড বরিশালে আসা-যাওয়া করার ক্ষেত্রে তাদের ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
তিনি আরো বলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা কিংবা বরিশালে আসা-যাওয়া করা যথেষ্ট কষ্টসাধ্য এবং জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এসব কারণে এলাকাবাসী চরফ্যাশনের দুলারহাট থানাধীন ঘোষেরহাট থেকে দশমিনা উপজেলার হাজিরহাট রুটে ফেরি চালুর দাবি জানিয়ে আসছেন। এবার তাদের দুর্ভোগ লাঘবে বিআইডব্লিউ কর্তৃপক্ষ উল্লেখিত রুটে ফেরি চালুর বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করায় এলাকাবাসী আশায় বুক বেঁধেছে; একই সঙ্গে সাধারণ যাত্রীদের চলাচল ও মালামাল পরিবহণে অতিসত্বর ঘোষেরহাট-হাজিরহাট রুটটিতে ফেরি চালু করার জোর দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। তাই এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বর্তমান সরকারের আন্তরিক পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছেন এলাকাবাসী।
রিফাত