
ছবি: সংগৃহীত
যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি বাজারে কপোতাক্ষ নদের পূর্ব তীরে নির্মাণাধীন সৌন্দর্য বর্ধন প্রকল্পের মাঝে গড়ে ওঠা একটি কসাইখানার কারণে প্রকল্পের সৌন্দর্য বিলীন হয়ে যাচ্ছে। কসাইখানার দুর্গন্ধে ওই এলাকায় চলাচল করতে পারছেন না স্থানীয়রা ও দর্শনার্থীরা।
সাগরদাঁড়ি বাজার কমিটির সভাপতি পলাশ নাথ জানান, উপজেলা পরিষদ কর্তৃক নির্মিত কসাইখানাটি সরানোর দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হবে।
মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মভূমি হিসেবে পরিচিত সাগরদাঁড়িতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় ৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি সৌন্দর্য বর্ধন প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন। কপোতাক্ষ নদের পূর্ব তীরের মাঝখানে থাকা কসাইখানাটি প্রকল্পের সৌন্দর্য বিঘ্নিত করছে। এটির কারণে নদের উত্তর ও দক্ষিণ দিকের সংযোগে বাধা সৃষ্টি হয়েছে এবং রাস্তার দৃশ্যপট ঢেকে গেছে। দূর্গন্ধের কারণে পর্যটকরাও এই এলাকায় চলাচল করতে পারছেন না।
স্থানীয়রা জানান, কসাইখানাটি অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় থাকে, সেখানে গরু ও ছাগল জবাইয়ের পর চামড়া ও বর্জ্য ফেলে রাখা হয়। এর ফলে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশে।
বাজার কমিটির সভাপতি সুবাস নাথ বলেন, “উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বাজারের সরকারি খাস জমিতে কসাইখানাটি নির্মিত হয়। কিন্তু বর্তমানে এর দুর্গন্ধে জনদুর্ভোগ চরমে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এটি অপসারণের জন্য ইউএনও বরাবর আবেদন করব।”
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-প্রকৌশলী সুমন সিকদার বলেন, “আমরা প্রকল্প শুরু করার আগেই কসাইখানাটি সেখানে ছিল। যেহেতু এটি সরকারিভাবে নির্মিত, তাই আমরা উচ্ছেদের কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছি না।”
যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জি জানান, “কসাইখানাটি বাজার কমিটি নির্মাণ করেছে। এখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিছু করার নেই।”
এ বিষয়ে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেক্সোনা খাতুন বলেন, “এখন পর্যন্ত কসাইখানার দুর্গন্ধ নিয়ে কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয় বাসিন্দা ও বাজার কমিটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত কসাইখানাটি সরিয়ে নদের তীরে উন্মুক্ত রাস্তা নির্মাণ করে সৌন্দর্য বর্ধন প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন।
আসিফ