ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৫ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সোনাইছড়ি উপকূলীয় বেড়িবাঁধে ভাঙন

সংবাদদাতা, সীতাকুণ্ড

প্রকাশিত: ২২:৪৭, ২৪ মে ২০২৫

সোনাইছড়ি উপকূলীয় বেড়িবাঁধে ভাঙন

ঘোড়ামারা সাগর উপকূলীয় বেড়িবাঁধে ধস

বেড়িবাঁধ সংস্কারের দুবছর না পেরুতেই পুনরায় ভাঙনের কবলে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ঘোড়ামারা সাগর উপকূলীয় বেড়িবাঁধ। অব্যাহতভাবে ভাঙতে থাকা বেড়িবাঁধটি সংষ্কার করা না হলে তা অচিরেই বিলীন হয়ে যাবে বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে ফের ভাঙনের কবলে পড়া বেড়িবাঁধ সংস্কারে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্মকর্তারা। বরাদ্দ পেলে সহসাই ভাঙনের কবলে পড়া বেড়িবাঁধ সংস্কার করবেন তাঁরা।  স্থানীয়রা জানান, ২০০৪ সালে সীতাকু-ের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ঘোড়ামরা অংশের বেড়িবাঁধ সাগর উপকূলে বিলীন হয়ে যায়।

বেড়িবাঁধটি সাগরে বিলীন হওয়ার ১৪ বছর পর ২০২১ সালে ভাঙা ১৮০মিটার বেড়িবাঁধ সংস্কার করেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। কিন্তু সংস্কার কাজে নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণে বেড়িবাঁধ টেকসই হয়নি। ফলে সংস্কারকাজের দুবছর না পেরুতেই ফের ভাঙনের কবলে পড়েছে বেড়িবাঁধটি। বর্তমানে জোয়ারের সঙ্গে সঙ্গে অল্প অল্প করে ক্রমাগত ভাঙছে বেড়িবাঁধটি। ক্রমাগত ভাঙতে থাকা বেড়িবাঁধটি সংস্কার কাজের মাধ্যমে ঠেকাতে না পারলে অচিরেই বেড়িবাঁধটি বিলীন হয়ে যাবে বলেও জানান তাঁরা। 
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানাড, ২০২১ সালে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হুইজকিড ইন্টারন্যাশনাল ভাঙনের কবলে পড়া ১৮০ মিটারের বেড়িবাঁধের সংস্কার কাজ শেষে তাঁদের বুঝিয়ে দেড। সে সময় বেড়িবাঁধের এ অংশটি সংস্কারে ব্যয় হয় ১৫ লাখ টাকা। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ফের ভাঙনের কবলে পড়া ১৮০ মিটার বেড়িবাঁধের বাইরের অংশে মাটি আটকে রাখতে বালি ভর্তি জিও ব্যাগ দেওয়া হয়েছে। তবে ক্রমাগত আসা জোয়ারের ঢেউয়ের তোড়ে তাঁর অধিকাংশই সরে গেছে। বেড়িবাঁধের অধিকাংশ স্থানে জোয়ারের পানিতে মাটি সরে গিয়ে ছোট, বড় ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সুবল জলদাস বলেন, ভাঙা বেড়িবাঁধটি সংস্কারের আগে দিনে দুবার তাঁদের বাড়িঘর জোয়ারের পানিতে ডুবে যেত। এভাবে টানা ১৪ বছর তাদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে ২০২২ সালে ডিসেম্বরে বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশটি মেরামতের পর দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের অবসান ঘটে। কিন্তু সংস্কারের দুবছর না পেরোতেই বেড়িবাঁধটি ফের ভাঙনের কবলে পড়ায় আবারও দুর্ভোগের শঙ্কায় ভোগেন তিনি। 
অপর বাসিন্দা রুহুল আমীন বলেন, সংস্কারের আগে জোয়ারের পানিতে আশপাশের পাঁচ গ্রাম প্লাবিত হতো। লবণাক্ত পানির কারণে চাষাবাদ ছাড়া পরিত্যক্ত পড়ে থাকত শত শত একর জমি। তবে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বেড়িবাঁধটি সংস্কার হলে চাষাবাদে গতিশীলতা ফিরে আসার পাশাপাশি স্বস্তি ফিরে পেয়েছিল উপকূলীয় লোকজন। কিন্তু দুবছর না পেরুতেই বেড়িবাঁধটিতে পুনরায় ভাঙন দেখা দেওয়ায় আবারও আতঙ্কে ভুগছেন তারা। 
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এস এম তারেক বলেন, ফের ভাঙনের কবলে পড়া বেড়িবাঁধটি সংস্কারে সাত লাখ টাকা বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করেছেন । বরাদ্দ পেলে সহসাই বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশের সংস্কারকাজ পুনরায় শুরু করবেন।

×