
সংস্কারের অভাবে খানাখন্দে ভরা সড়কটি বর্তমানে যানচলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে
রাজশাহীর দুর্গাপুর পৌর সদর থেকে চৌবাড়ীয়া গ্রাম পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার পাকা সড়ক এখন এলাকাবাসীর সীমাহীন দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাকা সড়কটি এখন আর পাকা নেই।
সংস্কারের অভাবে খানাখন্দে ভরা এই সড়কটি বর্তমানে যানচলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। পুরানো এই সড়কটি সংস্কারের জন্য বারবার তাগাদা দিলেও কেউ এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। ফলে পৌর সদর ছাড়াও কয়েকটি গ্রামের লোকজন পড়েছেন চরম বিপাকে।
শনিবার সরেজমিন দুর্গাপুর সদর থেকে চৌবাড়ীয়া গ্রাম পর্যন্ত ঘুরে দেখা গেছে, পুরানো এই সড়কটির বেশিরভাগ এলাকায় পানি জমে আছে। বেশিরভাগ অংশ খানাখন্দে ভরা। একেবারে যান চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কটির কয়েক হাত পর পর বড় বড় গর্ত হয়ে গেছে। সে গর্তে জমেছে বৃষ্টির পানি। অনেক জায়গায় পথচারীরা যানবাহন থেকে নেমে হেঁটে পার হচ্ছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই সড়কটি পৌরসভার প্রধান সড়কের একটি। এই সড়ক দিয়ে পাশের পুঠিয়া উপজেলার লোকজনও যাতায়াত করেন। ১০ বছর আগে এই সড়কটি পাকাকরণ করা হয় কিন্তু বছর দুই তিনেক পরই ভাঙতে শুরু করে। এখন বেশিরভাগ সড়কই খানাখন্দে ভরা। দীর্ঘদিন ধরে দুই উপজেলার মানুষ ভাঙাচোরা সড়ক দিয়ে চলাচল করছেন। এখন সংস্কার না করলে, বর্ষায় এ সড়কের আর কোনো অস্তিত্ব থাকবে না বলে মনে করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
পৌর সদর বহরমপুর গ্রামের বাসিন্দা আবেদ আলী জানান, মাঝে মাঝেই সড়কের মাপজোখ করতে আসেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের লোকজন, তবে বাজেটও হয়েছে অনেকবার। কিন্তু সংস্কার হয়নি। পৌরসভার অন্য রাস্তার কাজ ঠিকই হচ্ছে, তবে এ সড়কটির প্রতি দৃষ্টি নেই কারোর।
একই গ্রামের আরেক বাসিন্দা ভ্যানচালক ফরহাদ হোসেন বলেন, সাত বছর ধরে কষ্টে আছি। এই রাস্তায় চলতে গিয়ে প্রতিদিন ভ্যানগাড়ি নষ্ট হয়। সড়কটি ভাঙাচোরা হওয়ায় অনেক ভ্যানচালক এ সড়কে ভ্যানগাড়ি চালাতে চায় না।
চৌবাড়ীয়া গ্রামের বাসিন্দা ওয়াইজুল বলেন, হাটবারের দিন আসলে আমাদের ভোগান্তির শেষ থাকেনা। কৃষকরা তাদের পণ্য বাজারে নিতে চরম দুর্ভোগে পড়েন। রাস্তা খারাপ হওয়ায় সময়মতো যানবাহন পাওয়া যায় না। সড়কটি এতই খারাপ যে গাড়িতে যাওয়া দূরের কথা, হেঁটেও চলা যায় না।
এ ব্যাপারে দুগার্পুর পৌরসভার প্রকৌশলী সাহাবুল হক বলেন, সড়ক সংস্কারে বরাদ্দ নেই। এ জন্য সংস্কারে দেরি হচ্ছে। এ সড়কের জন্য নতুন করে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।
দুর্গাপুর উপজেলা প্রকৌশলী মাসুক-ই-মোহাম্মাদ জানান, সম্প্রতি এই সড়কটি পরিদর্শন করা হয়েছে। বেশ খারাপ অবস্থা দেখেছি। এ বিষয়ে দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন দপ্তরে জানানো হয়েছে।