ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

পটুয়াখালীতে মুগ ডালের বাম্পার ফলনেও দুশ্চিন্তায় চাষিরা

উপকূলীয় সংবাদদাতা বরিশাল

প্রকাশিত: ২২:৩১, ২১ মে ২০২৫

পটুয়াখালীতে মুগ ডালের বাম্পার ফলনেও দুশ্চিন্তায় চাষিরা

মাঠের পরে মাঠ এখন শুধু পাকা মুগডাল

বিস্তীর্ণ সবুজের ফাঁকে ফাঁকে কালো সোনার হাতছানি। যেদিকে দুচোখ যায় মাঠের পরে মাঠ এখন শুধু পাকা মুগডাল। এ অবস্থায় ক্ষেত থেকে দলবেঁধে ডাল তুলে বস্তায় ভরে বাড়ির উঠানে শুকিয়ে সংরক্ষণ করার পাশাপাশি বাজারজাত করার জন্য প্রস্তুত করছে কৃষক। কিন্তু এ বছর তীব্র গরমে খেত থেকে ডাল তুলতে পারছে না কৃষক। টাকা থাকলেও মিলছে না দিনমজুর। ফলে বৃষ্টি হলে খেতেই নষ্ট হবে মুগ ডাল। এমন দুশ্চিন্তায় দিনপাড় করছেন কৃষকরা।  
কৃষি অফিস বলছে, দেশের ৪৫ শতাংশের বেশি মুগ ডাল উৎপাদিত হয় পটুয়াখালী জেলায়। এই অঞ্চলের মাটি ডাল চাষের জন্য উপযোগী। এবার অনুকূল আবহাওয়া এবং আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করায় জেলায় মুগ ডালের বাম্পার ফলন হয়েছে। এখানকার উৎপাদিত মুগডাল জাপান, কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়ে থাকে।

চলতি বছর অনুকূল আবহাওয়া এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ না হওয়ায় একর প্রতি ২৭০০ থেকে ২৮০০ কেজি পর্যন্ত ফলন পাওয়া যাবে । এ ছাড়া গত বছর প্রতি মণ মুগ ডাল ৩০০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও এবার ৩৮০০ টাকা থেকে ৪ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাই কৃষক এই তীব্র গরমের মধ্যেও কষ্ট করে রোদে পুরে খেত থেকে ডাল তুলছেন।
উন্নতমানের বীজ, অনুকূল আবহাওয়া থাকায় এ বছর পটুয়াখালীতে মুগডালের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু এ বছর তাপমাত্রা বেশি থাকায় কৃষক খেত থেকে ডাল ঘরে তুলতে পারছে না। বৃষ্টি হলে খেতেই নষ্ট হবে ডাল এমন দুশ্চিন্তায় কৃষকরা। হাতে টাকা থাকলেও মিলছে না কোনো দিনমজুর। তাই সকাল-বিকেল পরিবার পরিজন নিয়ে মুগডাল খেত থেকে ঘরে তুলছেন কৃষক।

পটুয়াখালী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ নজরুল ইসলাম বলেন,  মুগডাল চাষে আমরা কৃষকদের সকল ধরনের সহযোগিতা করে থাকি। যেহেতু বর্তমানে তাপমাত্রা বেশি সেজন্য আমরা কৃষককে ফজরের নামাজের পরে এবং বিকেলে  ডাল উঠাতে এবং ছাতা ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছি।

×