ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব: চাচার ঘর ঘেঁষে গভীর গর্ত খনন ভাতিজার,ঝুঁকিতে বাড়িঘর

জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, উলিপুর, কুড়িগ্রাম

প্রকাশিত: ২১:৩৪, ২১ মে ২০২৫

জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব: চাচার ঘর ঘেঁষে গভীর গর্ত খনন ভাতিজার,ঝুঁকিতে বাড়িঘর

ছবি : জনকণ্ঠ

কুড়িগ্রামের উলিপুরে জমি-জমা নিয়ে বিরোধের জেরে চাচার বসতঘর ঘেঁষে গভীর গর্ত খননের অভিযোগ উঠেছে ভাতিজার বিরুদ্ধে। চলমান অতি বৃষ্টির কারণে বসতভিটা ওই গর্তে বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার বুধবার (২১ মে) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মৌজা মধুপুর কাইতপাড়া এলাকায়।

অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ধরনীবাড়ী ইউনিয়নের মৌজা মধুপুর কাইতপাড়া এলাকার আলসিয়া শেখের দুই ছেলে আব্দুর রহমান কাচুয়া (৫৮) ও আবু বক্কর (৬০)-এর মধ্যে পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। পরবর্তীতে আবু বক্কর ও তার ছেলে ফুল মিয়া জোরপূর্বক কাচুয়ার বাড়ি সংলগ্ন ১৬ শতক জমি দখল করে নেয়। এরপর কাচুয়া জমি দখলের বিষয়টি স্থানীয়দের জানালে তারা একাধিকবার আপোষ-মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এদিকে আবু বক্কর ও তার ছেলে ফুল মিয়া ভেকু দিয়ে কাচুয়ার বসতঘর ঘেঁষে গভীর করে গর্ত খনন করে। ফলে চলমান কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে কাচুয়ার বাড়িঘর গর্তে বিলীন হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।

সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে কথা হয় আব্দুর রহমান কাচুয়ার সঙ্গে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, “আমার তিনজন মেয়ে সন্তান থাকায় আমার ভাই ও ভাতিজা আমাদের উপর জুলুম চালাচ্ছে। আমাকে উচ্ছেদ করার জন্যই তারা এই অমানবিক কাজ করেছে। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে কয়েক মাস পূর্বে তারা আমাকে জোরপূর্বক মাইক্রোতে তুলে অপহরণ করে এবং অবস্থা বেগতিক দেখে অচেতন অবস্থায় সড়কে ফেলে রেখে যায়। বর্তমানে কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টিতে আমার বসতভিটা গর্তে বিলীন হয়ে যাওয়ার পথে। তাই ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।”

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ভাতিজা ফুল মিয়া ভেকু দিয়ে মাটি কাটার কথা স্বীকার করে জানান, “সেখানে আমার বসতভিটা ছিল। জমি চাষের জন্য ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে সেখানে মাটি উত্তোলন করা হয়েছে।” জমি দখলের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার সাহা বলেন, “দুই দিনের প্রশিক্ষণে আমি ঢাকায় অবস্থান করছি। ফিরে গিয়ে বিষয়টি দেখব।”

সানজানা

×