ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

 তিনগুণ ব্যয় আদায়ের পরও ফের টোলের পাঁয়তারা

সাগর হোসেন, কুষ্টিয়া

প্রকাশিত: ১৯:৫৭, ২১ মে ২০২৫

 তিনগুণ ব্যয় আদায়ের পরও ফের টোলের পাঁয়তারা

দৈনিক জনকণ্ঠ

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমারখালী শাখার আহ্বায়ক আব্দুর রহমানের সঞ্চালনায় সেতুর টোল আদায় বন্ধের দাবিতে কুমারখালীতে মানববন্ধন ,কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী সড়কের গড়াই নদীর ওপর নির্মিত সৈয়দ মাসুদ রুমী সেতুর টোল আদায় স্থায়ীভাবে বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। বুধবার (২১ মে) বিকেলে কুমারখালী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন গোলচত্বরে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে সর্বস্তরের মানুষ ও আহত জুলাই যোদ্ধারা।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আফজাল হুসাইন, কুষ্টিয়া শহর ছাত্র শিবির সভাপতি হাফেজ সেলিম রেজা, কুমারখালী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ মাহমুদ খান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম, ছাত্র আন্দোলনের জেলা মুখপাত্র পারভেজ মোশাররফ, মুশফিকুর রহমান তিহা, নয়ন হোসেন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ২০০৪ সালে সওজের তত্ত্বাবধানে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মিত হয়। ২০০৫ সাল থেকে সেতু ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে ইজারার মাধ্যমে টোল আদায় শুরু হয়। ইতোমধ্যে সেতু নির্মাণ খরচের প্রায় তিনগুণ টোল আদায় করা হয়েছে। তারপরও ‘ফ্যাসিবাদী প্রশাসন’ নতুন করে টোল আদায়ের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন বক্তারা।

তারা জানান, ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট জুলাই বিপ্লবের সময় স্থানীয় ছাত্রজনতা টোল আদায় বন্ধ করে দেন। এরপর ৭ আগস্ট বিক্ষুব্ধ জনতা টোলপ্লাজায় আগুন লাগিয়ে দেয়। ১৩ আগস্ট টোল আদায়ে গেলে আবারও বাধার মুখে পড়ে সওজ কর্মকর্তারা।

একাধিকবার হামলার শিকার হওয়ায় নিরাপত্তার অভাবে তারা সেখান থেকে সরে যান। বর্তমানে টোল আদায় বন্ধ রয়েছে। এতে সরকার প্রতিদিন তিন-চার লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে বলে সওজ সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে সওজ কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মনজুরুল করিমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।তবে কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, বিষয়টি লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

হ্যাপী

×