
ছবিঃ সংগৃহীত
ঢাকার দোহার উপজেলায় রাফি করিম খান (২৫) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হাত পায়ের রগ কেটে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (১৯ মে) রাত ১০ টায় রাতের খাবার খেয়ে বাড়ির পাশেই রাস্তায় দোকানে যায় রাফি করিম খান। এরপর সে আর বাসায় ফিরেনি। রাত ১টায় তাঁর মাকে মোবাইল ফোনে জানায় শাইনপুকুর মাঠে তার নিথর দেহ পড়ে আছে। পরে স্বজনরা গিয়ে দেখে তাঁর হাত পায়ের রগ কাটা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম।
এ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফুলতলা আব্দুর রাজ্জাক হাসপাতালে নেয়। পরে অবস্থার অবনিত হলে সেখান থেকে ঢাকা প্রেরণ করে। মুমূর্ষ অবস্থায় রাজধানীর কাটাবন হোম কেয়ারে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাফি মঙ্গলবার (২০ মে) রাত ২টার দিকে মারা যায়। দোহার উপজেলার শাইনপুকুর খরিয়া গ্রামে গত ১৯ মে এ ঘটনা ঘটে। রাফি ওই গ্রামের মাসুদ করিম খানের এক মাত্র ছেলে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, রাফি করিম খান রাতে বের হলে তাঁকে কে বা করা ধরে নিয় হাত পায়ের রগ কেটে ও মাথায় আঘাত করে বাড়ি থেকে একটু দূরে মাঠে ফেলে রাখে। এরপর হাসপাতালে নেয়া হলে ২৪ ঘন্টা পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হানপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
স্থানীয় প্রতিবেশিদের ধারণা, মাদক সংক্রান্ত ঘটনার জের ধরে হয়তো তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ ঘটনা ঘটাতে পারে। এলাকাবাসী এ ধরনের নৃশংস্য হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার দাবি করেন।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক স্বজন বলেন, বাবা মায়ের এক মাত্র ছেলে রাফি। বাবা অনেক জমি সম্পত্তির মালিক। বাবা মারা যাওয়ার পর সেই সব দেখভাল করে। এ সম্পত্তি গ্রাস করতে কোনো চক্র এ ঘটনা ঘটিয়েছে কি না সে বিষয়েও খতিয়ে দেখা দরকার।
ছেলেকে হারিয়ে শোকে নির্বাক মা আনোয়ারা খানম। তিনি ফ্যাল ফ্যাল দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন। ছেলের কষ্টে আর্তনাদ করে বলেন, আমার বাবাকে যারা এভাবে মেরেছে তাঁদের বিচার চাই।
প্রায় ৭ বছর আগে স্বামী হারিয়ে আনোয়ারা তিন মেয়ে এক ছেলে নিয়ে সংসার জীবন পার করছেন। ছোট বোন মুন আক্তার একটি কলেজের সম্মান তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। ভাই হত্যার বিচার চান। তিনি বলেন, ওরা আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে হাত পায়ের রগ কেটে ফেলে রাখে। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে এ বিষয়ে রাফি হাসপাতালে একটি অডিও বার্তায় সব বলে গেছে বলে জানান মুন। পুলিশ বলেছে মামলার স্বার্থে তা এখনই প্রকাশ না করতে।
এবিষয়ে দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রেজাউল করিম বলেন, নিহতের পরিবারের লোকজন মামলা করলে এ হত্যাকাণ্ডের সাথে কে বা কারা জড়িত থাকতে পারে সে বিষয়ে পুলিশ কাজ করছে।
ইমরান