ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ছাত্রী-শিক্ষক অনৈতিক সম্পর্ক: বিভাগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি 

রাবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ১৮:৫৯, ২১ মে ২০২৫

ছাত্রী-শিক্ষক অনৈতিক সম্পর্ক: বিভাগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি 

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হেদায়েত উল্লাহ ও একই বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মারিয়া খাতুনকে স্থায়ী বহিষ্কারসহ পাঁচ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা এবং তারা উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। বুধবার (২১ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানান তারা।

তাদের অন্য দাবি গুলো হলো— ১. চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠা চার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ ২. শিক্ষক হেদায়েত উল্লাহ এর কোর্সে ফলাফল জালিয়াতির তদন্ত ৩. পাশের বিনিময়ে শিক্ষার্থীকে দিয়ে একজন শিক্ষককে হত্যার প্ররোচনার বিচার ৪. পর্দাশীল ছাত্রীদের ওপর একাডেমিক ও মানসিক নির্যাতনের সুষ্ঠ তদন্ত এবং বিচার করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ফাইন্যান্স বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, গত ১১ মে ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হেদায়েত উল্লাহ পাপুল এবং একই বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মারিয়া খাতুনকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের ৩০৭ নম্বর কক্ষে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে আটক করা হয়। এ ঘটনার কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনার ভিডিও ধারণকারীরা হেদায়েত উল্লাহর নিকট চাঁদা দাবী করলে তিনি চাঁদা দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগ হতে উক্ত শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীকে তদন্ত চলাকালীন সময়ের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। 

তারা আরও বলেন, কিন্তু সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পূর্বেই ছাত্রীদের রুমে ডেকে নিয়ে গিয়ে মানসিক হয়রানি, ইচ্ছাকৃত ফেল করিয়ে ছাত্রীদের চেম্বারে ডেকে নিয়ে যাওয়া এবং পর্দাশীল ছাত্রীদের বিভিন্ন রকমের মানসিক হেনস্তার অভিযোগ রয়েছে। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে বিভাগে অভিযোগ জানানোর পরও আশানুরুপ কোনো ফল পাইনি। যার কারণে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা নানা ধরনের মানসিক নির্যাতনের মধ্য দিয়ে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ করে। এত অপরাধের পরও কোনো প্রকার শাস্তি না হওয়ার তার অপরাধ দিন দিন বেড়েই চলেছে। আমারা এসবের সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানাচ্ছি। 

আসিফ

×