ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

রাজা নামেই রাজত্ব: রাজবাড়ীতে ৮ লাখ টাকার বিশাল ২০ মণের  ষাঁড়

মনজু শেখ, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, রাজবাড়ী

প্রকাশিত: ০৭:৩১, ২১ মে ২০২৫

রাজা নামেই রাজত্ব: রাজবাড়ীতে ৮ লাখ টাকার বিশাল ২০ মণের  ষাঁড়

রাজবাড়ীর লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামে শুভাষ শিকদারের বাড়িতে বেড়ে উঠেছে এক বিশাল আকৃতির শাহীওয়াল জাতের ষাঁড়, যার নাম রাখা হয়েছে ‘রাজা’। প্রায় চার বছর ধরে সন্তানের মতো করে লালনপালন করা হয়েছে ষাঁড়টিকে। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে রাজাকে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। বর্তমানে ষাঁড়টির দাম হাঁকা হচ্ছে আট লাখ টাকা।

৬১ বছর বয়সী শুভাষ শিকদার জানান, রাজাকে তিনি শুরু থেকেই প্রাকৃতিক উপায়ে লালনপালন করেছেন। শুকনো খড়, ভুট্টা, খেসারি ও জব মিশিয়ে তৈরি খাবার খাওয়ানো হয় রাজাকে। প্রতিদিন কাঁচা ঘাস কেটে এনে খাওয়ানো হয়, পাশাপাশি দুই বেলা গোসল করানো হয়। গরমে স্বস্তি দিতে সারাদিন ফ্যান ও লাইটের ব্যবস্থাও রয়েছে তার থাকার ঘরে।

রাজা এখন ছয় দাঁতের, হালকা বাদামি রঙের একটি সুস্থ ও সুঠাম ষাঁড়। যার ওজন প্রায় ২০ মণ (প্রায় ৮০০ কেজি), উচ্চতা ৬ ফুট ও দৈর্ঘ্য প্রায় ৭ ফুট। বিশাল বুকের মাপ সাড়ে ৬ ফুট। শুভাষ শিকদারের বিশ্বাস, শহরের হাটে না গিয়েও ভালো দামে বাড়িতেই গরুটি বিক্রি করতে পারবেন তিনি।

তার ছেলে প্রশান্ত শিকদার বলেন, “আমরা সবাই মিলে গরুটিকে লালনপালন করেছি। অনেক যত্ন, সময় ও অর্থ ব্যয় হয়েছে। কেউ যদি আগ্রহী হন, তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমরা রাজাকে বিক্রি করব।”

রাজবাড়ী সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ওমর ফারুক জানান, গরুটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে এবং এটি শাহীওয়াল জাতের একটি উন্নত ষাঁড়। স্থানীয় প্রাণিসম্পদ দফতরের পরামর্শ নিয়েই শুভাষ শিকদার গরুটি লালন করেছেন।

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সূত্র বলছে, এবছর রাজবাড়ীতে কোরবানির জন্য মোট ৪৭ হাজার ৯৬৩টি গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে, যার মধ্যে গরু ২৪ হাজার ২৬০টি। চাহিদা রয়েছে ৪১ হাজার ৬০১টির, ফলে ৬ হাজার ৩৬২টি গবাদিপশু উদ্বৃত্ত থাকবে।

এই ঈদে রাজবাড়ীর ‘রাজা’ শুধু গ্রামের নয়, জেলার অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠতে পারে—তেমনই প্রত্যাশা শুভাষ শিকদার পরিবারের।
 

সজিব

×