
ছবি: জনকণ্ঠ
আগামী ৭ জুন ঈদুল আজহা, কোরবানির ঈদ। কোরবানির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ পশু কোরবানি। এই উপলক্ষে কক্সবাজারে সাপ্তাহিক হাটসহ ছোট-বড় ৯৪টি কোরবানির পশুর হাট বসতে যাচ্ছে। এর মধ্যে স্থায়ী হাট রয়েছে ৪৮টি এবং ঈদ উপলক্ষে অস্থায়ীভাবে বসছে ৪৬টি হাট। বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রেখে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন।
সার্বিক প্রস্তুতি ও নিরাপত্তা বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে ২০ মে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রস্তুতি সভা আহ্বান করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দীন। ওইদিনই আইন-শৃঙ্খলা, বাজার ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তাসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. আব্দুল খালেক জানান, কোরবানির পশু পরীক্ষার জন্য প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পক্ষ থেকে থাকবে পশু টেস্ট মেডিকেল টিম। জাল নোট শনাক্তকরণে থাকছে বিশেষ যন্ত্র, এবং ছিনতাই রোধে নিয়োজিত থাকবে পুলিশের বিশেষ টিম।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দীন বলেন, “কোরবানির পশুর হাটগুলোর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হবে। প্রতিটি বাজারে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। প্রতিটি হাটে মোবাইল পুলিশের টিমসহ সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন থাকবে।”
এদিকে কক্সবাজার পৌরসভার প্রশাসক রুবাইয়া আফরোজ বলেন, “পৌরসভার পক্ষ থেকে একটি অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট বসানোর অনুমতি চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হয়েছে। অনুমতি পেলে সুবিধাজনক স্থানে বাজার বসানো হবে।”
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, কক্সবাজার জেলায় ৯৪টি পশুর হাট বসবে। এরমধ্যে স্থায়ী বাজার ৪৮টি, এবং ঈদ উপলক্ষে ৪৬টি অস্থায়ী বাজার। উপজেলা ভিত্তিক অনুমোদিত হাট সংখ্যা: সদর: ১৪টি, রামু: ১৩টি, চকরিয়া: ১৬টি, পেকুয়া: ৮টি, উখিয়া: ৮টি, টেকনাফ: ৭টি, মহেশখালী: ৬টি, কুতুবদিয়া: ৬টি, তবে বেসরকারি হিসেবে বাজারের সংখ্যা শতাধিক বলে জানা গেছে। সদরে ১৪টি হাট ইজারা হলেও প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্য অনুযায়ী পশুর হাট বসছে ৭টি।
ইতোমধ্যে বেশ কিছু বাজারে পশু বিক্রি শুরু হয়েছে। মিয়ানমার থেকে আসা গরু-মহিষের সরবরাহও লক্ষণীয়। গত বুধবার খরুলিয়া বাজারে গরু বিক্রির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান ইজারাদার। সেদিন নিয়মিত হাটবারের পাশাপাশি কোরবানির হাটও বসেছিল। বাজারটিতে সহস্রাধিক গরু-মহিষ মজুদ রয়েছে। গত বছর গরুর সারি আধা কিলোমিটার পর্যন্ত রাস্তাজুড়ে ছিল। এ বছর সরবরাহ বেশি হলেও মাঝারি মানের গরুর দাম বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শহীদ