
চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ
পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ প্রশ্ন রেখে বলেছেন, এলাম প্রধান উপদেষ্টার পাঁচটি নির্দেশনা নিয়ে, আর আপনারা বানিয়ে দিলেন পদত্যাগ। এটার একটা ইফেক্ট বাজারে পড়ে না?
সোমবার সকালে সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা (কিছু গণমাধ্যম) তো নিউজ বানিয়ে দিয়েছেন। কোথা থেকে এ সমস্ত নিউজ (পদত্যাগের গুজব) বানান এবং পান। সারাদিন খালি এগুলোই ছড়ায়। এর থেকে ভালো কিছু কি নাই বলেন? আমি এলাম প্রধান উপদেষ্টার পাঁচটি নির্দেশনা নিয়ে, এতক্ষণ সেটা নিয়েই আলোচনা করছিলাম। আমি আসছি একটা কাজে আর আপনারা বানিয়ে দিলেন এগুলো (পদত্যাগ)। এটার একটা ইফেক্ট বাজারে পড়ে না?
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার যে পাঁচটি নির্দেশনা, তার বেশিরভাগই আমাদের কাজ নয়, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের। সেটা কো-অর্ডিনেশন আপনারা করবেন। এটার জন্যই আজকে আসা। এটাকে আপনারা (কিছু গণমাধ্যম) বানিয়ে দিলেন আমি পৌনে ১০টায় কেন আর্জেন্ট আসছি, আমি পদত্যাগ করব। এ যদি হয়, একটা মানুষ কাজ করবে কি?
কেন বারবার গুঞ্জন ছড়াচ্ছে আপনি পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন- এমন প্রশ্ন করা হলে খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, গুজব ছড়াল আমি আমেরিকায় গিয়ে ফিরব না। আমি যদি আমেরিকায় যেতাম, সবাই জানে ১২ বছর আমেরিকায় আমার ট্যাক্স ফাইল করতে হয়েছে। আমার তো ওখান থেকে কোনো দিন দেশেই ফেরার দরকার ছিল না।
আমি সাত বছর ইন্টারন্যাশনাল নিউইয়র্কের এমপ্লয়ী ছিলাম। আমার পে-রোল হতো নিউইয়র্কে। আমার বোনাস হতো নিউইয়র্কে। তো আমাকে ট্যাক্স ফাইল করতে হচ্ছে। এই সমস্ত খবর যে এরা ছড়ায়, এর কোনো মানে আছে। প্রাইভেট সেক্টরের চাকরি-বাকরি ছেড়ে সরকারি বেতনে কেন আসছি? দেশের কাজ করার জন্য।