
ছবিঃ সংগৃহীত
চলন্ত ট্রেন থেকে এক ব্যক্তিকে ফেলে দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, ট্রেনের দরজার বাইরে ঝুলে থাকা এক ব্যক্তিকে ভেতর থেকে কেউ হাত ধরে রেখেছেন। জীবনের আকুতি জানানো সত্ত্বেও একপর্যায়ে তার হাত ছেড়ে দেওয়া হয় এবং তিনি ট্রেনের নিচে পড়ে যান।
৩৫ সেকেন্ডের এই ভিডিওটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং অনেকেই ধরে নেন যে ওই ব্যক্তি মারা গেছেন। তবে অনুসন্ধানে জানা যায়, তিনি প্রাণে বেঁচে গেছেন এবং বর্তমানে বগুড়ার একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত ব্যক্তির নাম মতিউর রহমান। তিনি নওগাঁর রানীনগর উপজেলার পারইল গ্রামের বাসিন্দা এবং একজন আদম ব্যবসায়ী। ঘটনার দিন, ১৮ মে রবিবার, সকাল ১১টার দিকে বগুড়ার আদমদিঘি উপজেলার নসরতপুর রেলস্টেশন এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
মতিউরের পরিবার দাবি করেছে, পুরনো একটি বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় দুই বছর আগে মতিউরের মাধ্যমে সজীব নামের এক যুবক সৌদি আরবে যান। সেখানে ইকামা না পাওয়ায় সজীবের পরিবার মতিউরের ওপর ক্ষুব্ধ হয়।
পরিবারের অভিযোগ, সজীবের নির্দেশেই কয়েকজন যুবক চলন্ত ট্রেনে মতিউরকে মারধর করে এবং পরে তাকে ট্রেন থেকে ফেলে দেয়। ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে গেলেও তার একটি পা ভেঙে গেছে। ঘটনার পর প্রথমে তাকে আদমদিঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহরের একটি ক্লিনিকে স্থানান্তর করা হয়।
তবে আরও এক দুঃসংবাদ হলো—মতিউরের পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার পর মামলা করতে গিয়ে নানা ধরনের বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাদের।
ইমরান