
ছবি: জনকণ্ঠ
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার খামারিরা গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এতে করে স্থানীয় অনেক ক্ষুদ্র খামারি ও নারী-পুরুষ স্বনির্ভর হয়ে উঠছেন। যদিও সারা বছরই এই কার্যক্রম চালু থাকে, তবে ঈদুল আজহাকে ঘিরে এই সময়টাতে চাঞ্চল্য চোখে পড়ে।
জানা গেছে, কসবা উপজেলাতেই ছোট-বড় অনেক খামার রয়েছে। স্থায়ী খামারিদের পাশাপাশি মৌসুমী খামারিরাও ভালো লাভের আশায় এই ব্যবসায় যুক্ত হচ্ছেন। পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও বাড়ির আঙিনায় গরু লালন-পালন করে আয় করছেন।
দেশি জাতের পাশাপাশি খামারিরা ভারতীয় শাহিওয়াল, হলেস্টিন ফ্রিজিয়ান, জার্সি, গির ও নেপালী জাতের গরু পালন করছেন। তবে আশ্চর্যের বিষয়, স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয় দেশীয় রেড চিটাগাং জাতের গরুর দেখা মিলছে না এবছরের খামারগুলোর তালিকায়। শাহিওয়াল জাতের ষাঁড়ের প্রতি খামারিদের আগ্রহ বেশি, কারণ এই জাতের গরু দ্রুত বড় হয় এবং ভালো দামে বিক্রি হয়।
স্থানীয় খামারিরা ইতোমধ্যে গরু বিক্রির প্রস্তুতি শুরু করেছেন। উপজেলার বিনাউটি, বাদৈর ও গোপীনাথপুর এলাকার গরুগুলো মোটাতাজা হয়ে উঠেছে বলে জানান প্রান্তিক খামারি শান্তি মিয়া। তিনি বলেন, “আমি প্রতিবছরই গরু মোটাতাজা করে বিক্রি করি। এ বছর ৪টি গরু প্রস্তুত করছি, ভালো লাভের আশা করছি।”
সৈয়দাবাদ গ্রামের আবু সাইদ জানান, “তিনটি গরু মোটাতাজা করছি, এতে ইতোমধ্যে প্রায় এক লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি ভালো দাম পাবো।”
কসবা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তারেক মাহমুদ বলেন, “খামারিরা প্রাকৃতিকভাবে মোটাতাজাকরণে নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ পাচ্ছেন। সরকারিভাবেও তাদের সহায়তা করা হচ্ছে।”
শহীদ