
গত তিন দিনের বৃষ্টির কারণে সুন্দরগঞ্জে ভূট্টাক্ষেতে পানি জমে যাওয়ায় বিপাকে পরেছেন চাষিরা। একদিকে দিনমজুর সংকট অন্যদিকে ভূট্টার পাকা আঁটি বা তোরে পানি জমে কালচে বর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এছাড়া বৈরী আবহাওয়ার কারণে ঘরের মধ্যে মজুদ রাখা ভূট্টা শুকাতে না পারায় বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে। এসব কারণে ভূট্টার ন্যায়্য দাম না পাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে বললেন চরাঞ্চলের চাষিরা। বিশেষ করে তিস্তার চরে চলতি মৌসুমে ব্যাপক হারে ভূট্টার চাষাবাদ হয়েছিল। সেই সঙ্গে ফলনও হয়েছিল ভাল। কিন্তু বিধিবাম, ঘরের তোলার মুখে কালবৈশাখি বৃষ্টি-বাদলে চাষিদের অনেকটা ক্ষতি হল।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার পনেরটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৩৮৩২ হেক্টর জমিতে ভূট্টার চাষ হয়েছে। এর বেশির ভাগ চাষ হয়েছে তিস্তার চরাঞ্চলে। যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। স্বল্প খরচে অধিক লাভের আশায় কৃষকরা এখন ভূট্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। দিন যতই যাচ্ছে ততই ভূট্টার চাষ বেড়েই চলছে। ইতোমধ্যে অর্ধেক জমির ভূট্টা ঘরে তোলা হয়েছে।
হরিপুর ইউনিয়নের ডাঙার চরের ভূট্টা চাষি রবিউল ইসলাম বলেন, তিনি ছয় বিঘা জমিতে ভূট্টা চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে তিন বিঘা জমির ভূট্টা ঘরে তুলেছেন। বাকী দুই বিঘা জমির ফসল ঘরে তুলতে পারেন নাই। এর মধ্যে তিন দিন হতে দফায় দফায় বৃষ্টি-বাদলের কারণে ভূট্টাক্ষেতে পানি জমে গেছে। সেই সাথে পাকা আঁটি বা তোরে পানি ঢুকে কালচে বর্ণ হয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন এতে করে দাম কম হবে। বর্তমান বাজারে প্রতিমন ভূট্টা ১০০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ফলন ভাল হলে প্রতিবিঘা জমিতে ৩০ হতে ৩৫ মন ভূট্টা পাওয়া যায়।
তারাপুর চরের ভূট্টা চাষি বাদল বলেন, বৃষ্টি-বাদলের কারণে দিনমজুর পাওয়া যাচ্ছে না। সে কারণে ক্ষেত হতে ভূট্টা বাড়িতে নিয়ে আসা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। পরিজন নিয়ে দিনরাত কাজ করতে হচ্ছে। ভূট্টা বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ার কারণে দাম অনেকটা কম।
উপজেলা কৃষি অফিসার রাশিদুল কবির বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ব্যাপক হারে ভূট্টার চাষ হয়েছে। সেই সাথে ফলনও ভাল হয়েছে। শেষ সময়ে এসে বৃষ্টির কারণে সামান্য সমস্যা দেখা দিয়েছে চাষিদের। এক সপ্তাহের মধ্যে তীব্র রোদে ভূট্টা শুকাতে পারলে কোন ক্ষতি হবে না।
সজিব