ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৪ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২

সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের দাবি

যশোরে ‘হানি ট্র্যাপের খপ্পরে পড়ে’ যুবক কারাগারে!

সাজেদ রহমান,স্টাফ রিপোর্টার,যশোর

প্রকাশিত: ২০:৫৮, ১৩ মে ২০২৫

যশোরে ‘হানি ট্র্যাপের খপ্পরে পড়ে’ যুবক কারাগারে!

ছবি:সংগৃহীত

যশোরে ‘হানি ট্র্যাপের খপ্পরে পড়ে’ নাহিদ হাসান বাঁধন নামে এক যুবক কারাগারে রয়েছে বলে তার পরিবার দাবি করেছে। ‘ব্ল্যাকমেইলের শিকার’ হয়ে চাহিদা অনুযায়ী অর্থ না দেয়ায় ধর্ষণ মামলায় তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন বাঁধনের মা নাছিমা খানম।

মঙ্গলবার বিকালে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি করেন তিনি।

লিখিত বক্তব্যে নাছিমা খানম জানান, তাঁর একমাত্র ছেলে নাহিদ হাসান বাঁধন কাজীপাড়া বিমান অফিস মোড়ে যশোর কনসালটেন্সি ফার্ম চাকরি করে। হঠাৎ করেই গত ১০ মে তার অফিস থেকে কোতোয়ালি থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। পরে থানায় গিয়ে জানতে পারে বারান্দি মাঠপাড়া এলাকার জাহিদ হোসেন নান্নুর মেয়ে নাজনীন নাহার তিশা তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছে। 

নাছিমা খানম দাবি করেন, কলেজে লেখাপড়াকালীন তার ছেলে বাঁধনের সাথে তিশার পরিচয় হয়। তিশা হানি ট্র্যাপ চক্রের সদস্য। পরিচয়ের সূত্র ধরে তিশা কৌশলে বাঁধনে ফাঁসিয়ে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হয় এবং তার ছবি ও ভিডিও ধারণ করে। তিন বছর ধরে সেই ভিডিও ও ছবি নিয়ে তাকে ব্ল্যাকমেইল করে আসছে। গত তিন বছরে তিশা বাঁধনের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বিকাশের মাধ্যমে এই টাকা পাঠানোর প্রমাণও রয়েছে। 

তিনি আরও দাবি করেন, ওই মেয়ের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তার ছেলে যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে একইভাবে ব্ল্যাকমেইল করে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা দিতে রাজী না হওয়ায় হানি ট্র্যাপ গ্রুপের সদস্য ইকরামুলসহ কয়েকজনকে দিয়ে বাঁধনকে তুলে নিয়ে মারপিট করে তিনটি সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এরপরও টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। এক পর্যায়ে গত ১ মে রাত ১০ টার দিকে তিশা লোকজন নিয়ে বাড়িতে হাজির হয়ে বাঁধনকে না পেয়ে তার স্ত্রীকে মারপিট করে ধর্ষণ মামলা দেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়।

তিনি উল্লেখ করেন, এসব ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় গত ২৮ মার্চ এবং ২ মে দুটি লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুলিশ এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো তিশার ষড়যন্ত্রমূলক ধর্ষণ মামলায় বাঁধনকে গ্রেফতার করেছে। নাছিমা খানম ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে তার ছেলের মুক্তি এবং হানি ট্র্যাপ চক্রের সদস্যদের শাস্তি দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বাঁধনের স্ত্রী লাবণী খাতুন ও বোন সুমনা মুন।

আলীম

×