ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৪ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২

হাতিয়ায় সালিশের পর হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, হাতিয়া

প্রকাশিত: ২০:৩০, ১৩ মে ২০২৫

হাতিয়ায় সালিশের পর হামলা

ছবি: প্রতীকী

দীর্ঘদিন ধরে জায়গা-জমি বিরোধের নিরসনের লক্ষ্যে আয়োজিত সালিশি বৈঠকের রায় একপক্ষের অনুকূলে না আসায় সালিশদার আনোয়ার হোসেনকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। তাকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকেলে আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে হাতিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এর আগে, রবিবার দুপুরে উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রেহানিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, এলাকার সফিক উদ্দিনের সঙ্গে আবু সুফিয়ানদের জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছিল। বিরোধ নিরসনে একাধিকবার সালিশের আয়োজন করা হয়। এক পর্যায়ে বৈঠকের রায়ে সফিক উদ্দিনকে বিবাদীয় ভূমি বুঝিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও তিনি তা বুঝিয়ে না দিয়ে দখল করে রাখেন। পরে উভয় পক্ষের যৌথ সিদ্ধান্তে আবারও সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। ওই বৈঠকে আনোয়ারকেও সালিশদার হিসেবে মনোনীত করা হয়। বৈঠনের দিন আনোয়ারসহ অন্যান্য সালিশদারেরা বিষয়টি পর্যালোচনা করে সালিশি রায় দেন। তখন আবু সুফিয়ান ও তার লোকজন তর্কবিতর্ক শুরু করে এবং একপর্যায়ে সফিককে জুতা দিয়ে আঘাত করে।

এ সময় পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে আবু সুফিয়ানের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে আনোয়ারকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।

আহত আনোয়ার বলেন, সালিশ শেষে হঠাৎ করেই আবু সুফিয়ানের লোকজন আমার ওপর হামলা চালায়। এতে আমার হাত ও বাম কানে মারাত্মক জখম হয়। গুরুতর অবস্থায় আমাকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ সময় তারা আমার সঙ্গে থাকা ৭৫ হাজার নগদ টাকা, মোবাইল ও ঘড়ি লুট করে নেয়। এতে প্রায় এক লাখ টাকার ক্ষতি হয়। পরে হাতিয়া থানায় ৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করি।

হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজমল হুদা জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সাগরিয়া ফাঁড়ি পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শহীদ

×