ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৪ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২

বাকেরগঞ্জ রাঙ্গামাটি নদী ভাঙ্গনে দিশেহারা মানুষ: বসত ঘর, ফসলি জমি বিলীন

জিয়াউল হক,নিজস্ব সংবাদদাতা,বাকেরগঞ্জ,বরিশাল

প্রকাশিত: ১৮:১০, ১৩ মে ২০২৫; আপডেট: ১৯:৫৪, ১৩ মে ২০২৫

বাকেরগঞ্জ রাঙ্গামাটি নদী ভাঙ্গনে দিশেহারা মানুষ: বসত ঘর, ফসলি জমি বিলীন

ছবি:সংগৃহীত

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরাদী ইউনিয়নের রাঙ্গামাটি নদীর ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে তীরে বসবাস করা শত শত পরিবারের মানুষ। চরাদী ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে রাঙ্গামাটি নদী। এই রাঙ্গামাটি নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে দুই কিলোমিটারের মধ্যে শত শত বসতি বাড়িসহ ফসলি জমি নদী গর্বে বিলীন হয়ে গেছে।

সরেজমিনে দেখ যায়, রাঙ্গামাটি নদীর পারে গড়ে ওঠা গোপালপুর,গোমা গ্রাম ভাঙনের মুখে। হুমকির মুখে আছে নতুন করে গড়ে ওঠা শতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি। ওই সকল বাড়িগুলো ভাঙ্গনের মুখে হওয়ায় যে কোন মুহূর্তে নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

গোপালপুর গ্রামের ভেরি বাঁধ অনেক আগেই ভেঙ্গে নদী গর্ভে চলে গেছে। বর্ষা মৌসুম এলে ভেরি বাঁধ না থাকায় প্রতিবছর বন্যা ও নদীর জোয়ারের পানি লোকালয় প্রবেশ করে। এতে ওই অঞ্চলের কৃষকদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এখন ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় ভাঙ্গন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে নদী তীরবর্তী পরিবারগুলোর।

গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালাম হাওলাদার জানান, বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই নদীতে পানি বেড়েছে। তীব্র স্রোতে নতুন করে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।সরকারি ভাবে ভাঙ্গন রোধে নেই কোনো কার্যকরী ব্যাবস্থা। গোপালপুর গ্রামে শতাধিক বসতবাড়ি ও দুই শত একর ফসলি জমি নদীতে গেছে। এতে এই এলাকার অনেকেই নিঃস্ব হয়ে গেছেন। ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো বাজারে, নদীর পাড়ে, রাস্তার পাশে বা আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকেই।

নদী ভাঙ্গন রোধে সরকার এগিয়ে না আসলে দ্রুত সময়ের মধ্যে এই এলাকার শতাধিক পরিবার নতুন করে তাদের বাড়িঘর হারিয়ে নিঃস্ব হবে। নদী ভাঙ্গন রোদে এলাকাবাসীর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা কামনা করেন। 

বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জাবেদ ইকবাল জানান, রাঙ্গামাটি নদী ভাঙন এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আলীম

×