
কুষ্টিয়ার হরিশংকরপুর এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী ও দুই শিশু কন্যাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে মামুন হোসেন (৩৫) নামে এক ব্যক্তি। ঘটনার পর নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করে সে। বর্তমানে সবাই কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মামুন হোসেন পেশায় রংমিস্ত্রি। তিনি তার স্ত্রী মেঘলা খাতুন ও তিন সন্তানকে নিয়ে হরিশংকরপুর এলাকায় বসবাস করতেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মামুন ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার স্ত্রী এবং আচার দিয়ে চার ও দুই বছর বয়সি দুই কন্যাকে আহত করে। এরপর নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়।
নিকট আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা জানান, মামুন ও মেঘলার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল। তারা অভিযোগ করেন, স্ত্রীর পরকীয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করেই এ দাম্পত্য কলহ তৈরি হয়।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রাজিব হাসান জানান, আহতদের মধ্যে স্ত্রী ও দুই কন্যার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের শরীরে গুরুতর জখম রয়েছে, তবে শারীরিক অবস্থা নিয়ে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। পুরো ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
স্থানীয়রা জানান, কিছুদিন আগেই মেঘলা খাতুন স্বামীর বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। পরে আবার ফিরে আসেন। এ নিয়ে পরিবারে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়, যার জেরে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে তারা ধারণা করছেন।
রাজু