
ছবি:সংগৃহীত
বিস্ফোরক মামলায় ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের ২১ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার(১২মে) দুপুরে ফরিদপুর জেলা দায়রা ও জজ আদালতের বিচারক আলমগীর কবির এই আদেশ দেন।
এ সময় অসুস্থ বিবেচনায় একজনের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
কারাগারে নিয়ে যাওয়া আসামিরা হলেন, আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক শেখ দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইকবাল হোসেন, উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম শেখ, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক হাসমত হোসেন তালুকদার, যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল শেখ, উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক মতিয়ার রহমান, গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান।
এ ছাড়া কারাগারে নিয়ে যাওয়া ব্যক্তিরা ছিলেন আওয়ামী লীগ কর্মী আবুল বাসার শেখ, বাদশা সিকদার, আসলাম মোল্যা, তাবিবুর রহমান, সেলিম শেখ, আব্দুল কুদ্দুস, আজিজুর রহমান তালুকদার, সুলতান মাহমুদ, আজিজ খন্দকার, শহিদুল ইসলাম, আইয়ুব আলী, সৈয়দ আশরাফ আলী, আবুল হোসেন ও হাসান মিয়া।
গত ১৮ জানুয়ারি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানায় মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ আওয়ামী লীগের ১৭০ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা করেন বিএনপির সমর্থক দিনমজুর লাভলু সরদার। মামলায় আড়াই থেকে তিন হাজার ব্যক্তিকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
এই মামলার ২২আসামি হাইকোর্টের নির্দেশে চার সপ্তাহের জন্য অন্তবর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। হাইকোর্ট জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে তাঁদের নিম্ন আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন।
ফরিদপুর জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আলী আশরাফ নান্নু বলেন, আজ সোমবার (১২মে) ছিল হাইকোর্ট থেকে জামিনে থাকার শেষ দিন। এ জন্য ওই ২২ আসামি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। শুনানি শেষে আদালত অসুস্থ বিবেচনা করে নবাব আলী (৬৫) নামের একজনকে জামিন মঞ্জুর করলেও বাকি ২১ জনের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পরে পুলিশি প্রহরায় তাঁদের আদালত প্রাঙ্গণ থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
আলীম