
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে শাফায়েত তালুকদার (৩০) নামে বিএনপির এক কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শাফায়াত হত্যার জন্য নেতৃত্বদানকারি থানার এসআই পিন্টুর ফাঁসি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টার দিকে জিউধরা বাজারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে নিহত শাফায়েত তালুকদারের বাবা-মা, স্ত্রী ও দুই বোনসহ কয়েক শত ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অংশ নেন।
মানববন্ধনে নিহত শাফায়েত তালুকদারের পিতা ফারুক হোসেন তালুকদার বলেন, ‘থানার এসআই পিন্টু পূর্ব শত্রুতার কারনে পরিকল্পিতভাবে আরও কয়েকজন পুলিশ সদসস্যের সহযোগীতায় শাফায়েতকে পিটয়ে হত্যা করেছে। শাফায়েতের শরীরে জলন্ত সিগারেটের ছ্যাকাও দিয়েছে। অথচ শাফায়েতের বিরুদ্ধে কোন মামলা বা অভিযোগ তাদের কাছে নেই’।
এ সময় ফারুক হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার সময় ‘ভুল খবর’ দিয়ে ঘটনাস্থলে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় স্থানীয়দেরকে ঘটনাস্থলে ভিতরে যেতে না দিয়ে গোপনে শাফায়েতের লাশ গাড়িতে তুলে নিয়ে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মানববন্ধনে শেষে নিহত শাফায়েতের মা শাফিয়া বেগম, স্ত্রী তন্বী বেগম, বোন মারজিয়া ও হিরা আক্তারসহ সকলে এসআই পিন্টুর ফাঁসির দাবি করেন।
প্রসঙ্গত: গত মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে জিউধরা গ্রামে একজন ওয়ারেন্টি আসামীকে গ্রেপ্তারের জন্য এসআই পিন্টুর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। ওই সময় বাধা দিয়ে হট্রগোল করে এক দল লোক। এরপর সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে পৌছায়। পরে পুলিশ অভিযানে জিউধরা গ্রামের ফারুক হোসেন তালুকদারের ছেলে শাফায়েত পিটুনিতে মারা যায়। এসময়ে ওয়ারেন্টি আসামি সোহেল তালুকদারসহ আরও দু’জন আহত হন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জানা গেছে, সম্প্রতি চিংড়িঘের সংক্রান্ত একটি শালিশকে কেন্দ্র করে শাফায়েত ও সোহেল তালুকদার এসআই পিন্টুকে অপমানজনক কথা বলাসহ লাঞ্ছিত করে। ওই ঘটনা পর এসআই পিন্টু ওয়ারেন্ট আসামি গ্রেপ্তারে সেখানে যান। এ ঘটনার পর এসআই পিন্টুকে মোরেলগঞ্জ থানার আর দেখা যায়নি। তাকে অন্যত্র বদলী করা হয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শাফায়েত নিহতের ঘটনায় কোন মামলা হয়নি।
রাজু