ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৭ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২

ভাড়াটিয়ার ছুরিকাঘাতে বাড়ির মালিক খুন

নিজস্ব সংবাদদাতা, গফরগাঁও, ময়মনসিংহ 

প্রকাশিত: ২২:৩২, ৬ মে ২০২৫; আপডেট: ২২:৩৭, ৬ মে ২০২৫

ভাড়াটিয়ার ছুরিকাঘাতে বাড়ির মালিক খুন

ছবি: জনকণ্ঠ

ময়মনসিংহের ভালুকায় প্রতিবেশী বাড়ীর ভাড়াটিয়ার ছুরিকাঘাতে রফিকুল ইসলাম রতন (৪০) নামে এক বাড়ীর মালিক খুন হয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতক চুন্নু মিয়া (৪২) কে গ্রেফতার করেছে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ। অবৈধ সম্পর্ক ও পারিবারিক কলহকে কেন্দ্র করে হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ ও এলাকাবাসী 

সোমবার (৫মে) রাতে  উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়ন সিডস্টোর লবণকোঠা গ্রামে তাইজুদ্দিনের চায়ের দোকানে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রতন ওই গ্রামের মৃত মিয়াজ উদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রতন বাড়ীর পাশেই তাইজুদ্দিনের চায়ের দোকানে বসে ছিল, আচমকা চুন্নু মিয়া দৌড়ে এসে হাতে থাকা ছুরি দিয়ে একের পর এক পিঠে একাধিক আঘাত করে এতে রতন গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা রতনকে উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রতনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রতনকে হত্যা করে খুনি চুন্নু মিয়া নিজ বাসায় আত্মগোপন করে।

খবর পেয়ে মডেল থানা পুলিশ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে চুন্নু মিয়াকে গ্রেফতার করেন। নিহত রতনের সাথে আসামির স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক ও পারিবারিক কলহকে কেন্দ্র করে হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আসামী চুন্নু মিয়া ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার টাঙ্গাটিপাড়া মৃত তোতা মিয়ার ছেলে ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়ন সিডস্টোর লবণকোঠা গ্রামে একটি বাড়িতে ভাড়া থেকে শ্রমিকের কাজ করতেন এবং তার স্ত্রী স্থানীয় একটি কারখানায় চাকরি করেন।

স্থানীয় মোসলেম উদ্দিন বলেন, আমিও ওই চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিলাম। এ সময় চুন্নু মিয়া দৌড়ে এসে কোন কিছু না বলেই রতনের পিঠে একাধিক ছুরিকাঘাত করে। আমি বাঁধা প্রদান করলে আমাকেও ছুরিকাঘাতের চেষ্টা করে। তখন আমার হাতে থাকা কাপের চা খুনির মুখে ছুড়ে মেরে নিজেকে আত্মরক্ষা করি। পরে দৌড়ে তার বাসায় গিয়ে আত্মগোপন করে। আশপাশের লোকজন জানতে পেরে বাড়ীর চার পাশ ঘিরে ফেলে এবং পুলিশকে খবর দেয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সামছুল হুদা খান জানান, খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে।

শহীদ

×