
ছবিঃ সংগৃহীত
বাংলাদেশ সরকার রেলওয়েকে লাভজনক করতে একাধিক কৌশল গ্রহণ করেছে। রেলওয়েকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে দুর্নীতি দমন, নিরাপত্তা জোরদার এবং সেবার মান উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে ।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ পণ্য পরিবহন বাড়াতে নতুন কৌশল গ্রহণ করেছে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহনের হার বর্তমানে মাত্র ২%, যা ২৫% পর্যন্ত বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এটি বাস্তবায়নে নতুন ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো (ICD) নির্মাণ এবং অতিরিক্ত ইঞ্জিন ও কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।
যাত্রীদের জন্য সেবার মান উন্নয়নে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ট্রেনের সময়সূচি মেনে চলা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, এবং যাত্রীদের প্রতিক্রিয়া সংগ্রহের ব্যবস্থা করা ।
অনলাইন টিকিটিং সিস্টেমে স্বচ্ছতা ও সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে টিকিট কালোবাজারি রোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য টিকিট সংরক্ষণ বন্ধ করা ।
রেলওয়ের অবকাঠামো উন্নয়নে সরকার ৩০ বছরের মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়ন করছে। এর আওতায় নতুন রেললাইন নির্মাণ, পুরাতন লাইন সংস্কার, এবং আধুনিক সিগন্যালিং সিস্টেম স্থাপন করা হচ্ছে ।
রেলওয়ের প্রশাসনিক কাঠামো পুনর্গঠনের মাধ্যমে চারটি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। এটি পরিচালন ব্যবস্থায় দক্ষতা বৃদ্ধি এবং সেবার মান উন্নয়নে সহায়ক হবে।বর্তমানে রেলওয়েতে প্রায় ৫০% পদ শূন্য রয়েছে। এই শূন্যতা পূরণে নতুন নিয়োগ এবং কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে ।
রেলওয়ের আর্থিক ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে ই-গভর্নমেন্ট প্রোকিউরমেন্ট (e-GP) পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এটি ক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে।
এই পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে সরকার রেলওয়েকে একটি লাভজনক, নিরাপদ এবং যাত্রীবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থায় রূপান্তর করতে কাজ করছে।
সূত্রঃ https://youtu.be/A3QZrh0K2sM?si=P_qc1dT0DxQ8-u82
আরশি