ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৭ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২

নরসিংদীতে দাফনের ৬ মাস পর পৌর কমিশনারের মরদেহ উত্তোলন

সাইফুল ইসলাম, নরসিংদী।

প্রকাশিত: ২১:৪৩, ৬ মে ২০২৫; আপডেট: ২১:৪৪, ৬ মে ২০২৫

নরসিংদীতে দাফনের ৬ মাস পর পৌর কমিশনারের মরদেহ উত্তোলন

নরসিংদীর মাধবদীতে দাফনের প্রায় ৬ মাস পর সাবেক পৌর কাউন্সিলর মোবারক হোসেনের মরদেহ উত্তোলন করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের জন্য আদালতের নির্দেশে মরদেহ তোলা হয়েছে বলে জানান মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: নজরুল ইসলাম।

মোবারক হোসেন মাধবদী পৌর এলাকার গাংপাড় এলাকার মৃত তালেব হোসেন এর মেজো ছেলে ও ২ নং ওয়ার্ড এর সাবেক কাউন্সিলর ছিলেন।

নরসিংদী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাফিউর রহমানের নেতৃত্বে এ মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এ সময় মোবারক হোসেন এর পরিবারের লোকজন ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

নিহতের স্বজনরা জানান, গত ২২ মার্চ শনিবার সকালে কবরস্থানে মোবারক হোসেনের কবর ডেকে রাখা লোহার মাচা ও মাটি সরানো অবস্থায় দেখতে পায় স্বজনরা। এসময় খোঁড়া কবর থেকে একটি বোতল, আগুনে পোড়া কাপড়, পোড়া কাঠসহ বিভিন্ন আলামত দেখা যায়।

এতে সন্দেহ হলে মৃত মোবারক হোসেনের ছেলে আবির হোসেন মাধবদী থানায় সারাধণ ডায়েরী করেন। পুলিশী তদন্তের পরে বিষয়টি অভিযোগটি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। পরে আদালত কবর হতে মরদেহটি মরদেহ উত্তোলন ময়না তদন্তের নির্দেশে দেন। নির্দেশনা অনুযায়ী মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

গত বছরের ১৫ নভেম্বর হঠাৎ স্ট্রোক করে কাউন্সিলর মোবারকের মৃত্যু হয়। স্বাভাবিক মৃত্যু ভেবে মরদেহ দাফন করে পরিবারের সদস্যরা। পরে বিভিন্ন আলামত ও সন্দেহবশত আদালতে যায় পরিবার।

নিহতের ছোট ভাই হাজী মুহাম্মদ রোমান জানান, মোবারক হোসেনের মৃত্যুর পর গত ২২ মার্চ কবরে মরদেহ পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটে। এতে রহস্য তৈরি হলে নরসিংদী আদালতে মোবারকের স্ত্রী মনিরা সরকার (৪৩), মোবারকের শ্যালক রায়হান সরকার ও স্থানীয় পল্লী চিকিসৎক ইমন মিয়াসহ চারজনকে আসামি করে মামলা করে আমার ভাতিজা ও নিহতের ছেলে আবির হোসেন।
 

রিফাত

×