ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১

আপন চেহারায় ফিরছে ঢাকা

ভিড় বাড়ছে মানুষের দৃশ্যমান হচ্ছে বিচিত্র ছোটাছুটি 

জনকণ্ঠ ফিচার

প্রকাশিত: ০০:১০, ২৩ জুন ২০২৪

ভিড় বাড়ছে মানুষের দৃশ্যমান হচ্ছে বিচিত্র ছোটাছুটি 

ঈদের ছুটি শেষে চিরচেনা রূপে না ফিরলেও কর্মচাঞ্চল্য ফিরতে শুরু করেছে রাজধানীতে

ঈদে অদ্ভুত এক পরিবর্তনের সাক্ষী হয় ঢাকা। এ সময় তিনদিনের সরকারি ছুটি থাকে। তা তো থাকেই। ব্যক্তিগত উদ্যোগে ছুটি আরও কয়েকদিন বাড়িয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রেও বাঙালির জুড়ি নেই। ফলে উদ্যাপন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। ঈদের ছুটিতে সেই বদলে যাওয়া ঢাকাই দেখা গেছে। 
গত ১৭ জুন ছিল ঈদুল আজহা। তার আগের দিন থেকে শুরু হয়ে গিয়েছিল সরাকারি ছুটি। ছুটি পেয়ে আত্মীয় পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করতে কর্মস্থল ঢাকা ছেড়ে যান বিপুলসংখ্যক মানুষ। এর প্রভাবে হঠাৎই প্রায় ফাঁকা হয়ে যায় রাজধানী। কোথাও আর আগের মতো ভিড় চোখে পড়ে না। অফিস আদালত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সব ছিল বন্ধ।

কোথাও কোনো ছোটাছুটি ছিল না। দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে কাউকে কোথাও প্রতীক্ষা করতে হয়নি। বরং চেনা রাস্তাগুলোকেই মনে হয়েছে অনেক বেশি প্রশস্ত। যানজট বলতে কিছু ছিল না। কোথায় যাব, কখন কীভাবে ফিরব এসব নিয়ে ভাবতে হয়নি। ফলে মনের আনন্দে যেদিকে খুশি ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে উৎসবপ্রেমীদের। 
তবে ঈদের ছুটি শেষে আবারও আপন চেহারায় ফিরছে ঢাকা। ভিড় বাড়ছে মানুষের। দৃশ্যমান হচ্ছে বিচিত্র ছোটাছুটি। গত ১৯ জুন সরকারি ছুটি শেষ হয়। ওইদিন রাত থেকেই অনেকে ফিরতে শুরু করেন।  পরদিন সকালে একই দৃশ্য দেখা যায়। আর বর্তমানে প্রতিদিনই ট্রেন বাস লঞ্চ ভর্তি হয়ে লোক আসছে। সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা বরাবরই কাজে ফাঁকি দিতে পছন্দ করেন। যারা এ ক্ষেত্রে বেশি এগিয়ে তারাও আজ রবিবার কর্মস্থলে উপস্থিতি নিশ্চিত করার চেষ্টা করবেন।

একদিন আগে শনিবার শেষ ছুটির দিনে ঢাকার রেলওয়ে স্টেশন, বাস টার্মিনাল, লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে এমন আভাসই পাওয়া গেছে। কমলাপুর সদরঘাট সায়েদাবাদ গাবতলী এলাকায় লম্বা সময় দাঁড়িয়ে ঢাকা ছাড়তে দেখা গেছে অল্প কিছু মানুষকে। সে তুলনায় ঢাকায় ঢোকার ¯্রােতটা ছিল অনেক বড়।
এদিকে, বেসরকারি চাকরি ব্যবসা বা অন্যান্য কাজে যুক্ত ব্যক্তিদের খুব একটা ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ থাকে না। ফলে বড় অংশটি ইতোমধ্যে নেমে গেছে জীবন যুদ্ধে। ঈদে বাড়তি খরচ করতে হয়েছে। অনেকে ঋণের টাকায় ঈদ উদ্যাপন করেছেন। এখন আছেন চাপে। চাপ কাটিয়ে উঠতে পরিশ্রম বাড়িয়ে দিয়েছেন তারা। ঢাকার রাস্তা ঘাট অলিগলি সবচেয়ে বেশি মুখরিত করে রাখে হকাররা। তারাও ফিরেছেন। হাঁকডাক দিয়ে নানা পণ্য বিক্রি করছেন। সবজি বিক্রেতা ভ্যানচালক ডেলিভারিম্যান সবাই এখন যে যার মতো ব্যস্ত। 
ঈদ শেষে খুলেছে ছোট বড় দোকানপাট শপিংমল রেস্তোরাঁ। ভিড় বেড়েছে ফুটপাতের চায়ের দোকানে। গণপরিবহনের সংখ্যাও বেড়েছে। শুধু কি তাই? দেখা মিলছে যানজটেরও। আজ রবিবার থেকে বাকি যা কিছু, সবই দেখা যাবে। প্রস্তুত তো আপনি?

×