ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

তিন পার্বত্য জেলায় বৈসাবি

জলকেলি, র‌্যালি-উৎসব আয়োজনে পাহাড় রঙিন

জনকণ্ঠ ফিচার

প্রকাশিত: ২৩:০৫, ১৫ এপ্রিল ২০২৪

জলকেলি, র‌্যালি-উৎসব আয়োজনে পাহাড় রঙিন

খাগড়াছড়িতে মারমা সম্প্রদায়ের মহা সাংগ্রাইয়ে জলকেলি উৎসব

বাঁধভাঙা আনন্দ-উৎসবে মেতে উঠেছে পাহাড়। নতুন বছরকে বরণ করে নিতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষ প্রতি বছর তিনদিনের রঙিন উৎসবের আয়োজন করে। খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙ্গামাটিতে মহাধুমধামে পালন করা হয় এই উৎসব। স্থানীয়রা এই উৎসবের সংক্ষিপ্ত নাম দিয়েছে ‘বৈসাবি’। আজ মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে শেষ হবে বৈসাবির সমস্ত আয়োজন। তিনদিনের এই উৎসব উপলক্ষে সরকারি এবং স্থানীয় পর্যায়ে আয়োজন করা হয় আলোচনা অনুষ্ঠান ও র‌্যালির।
জীতেন বড়ুয়া, খাগড়াছড়ি থেকে জানান, সাংগ্রাই শোভাযাত্রা ও জলকেলি উৎসবের মাধ্যমে খাগড়াছড়িতে উদ্যাপন হচ্ছে মারমা জনগোষ্ঠীর সাংগ্রাই উৎসব। বর্ণিল আয়োজনে উৎসবে মাতোয়ারা মারমা জনগোষ্ঠী। পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রাণের উৎসব বৈ-সা-বি ঘিরে পুরো খাগড়াছড়ি জেলায় আনন্দের রং ছড়িয়ে পড়েছে। উৎসবের তৃতীয় দিনে রবিবার ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই উৎসব।

মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই উৎসবকে ঘিরে খাগড়াছড়ি জেলা শহর নানা রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে। এ উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ছিল মারমা জনগোষ্ঠীর বর্ণাঢ্য সাংগ্রাই র‌্যালি ও জলকেলি বা জলোৎসব। সকালে বৌদ্ধ বিহারগুলোতে ক্যং ফুল পূজার মধ্য দিয়ে সাংগ্রাই উৎসবের সূচনা হয়। সাংগ্রাই উৎসব উপভোগ করতে খাগড়াছড়ি এসেছে বিপুলসংখ্যক পর্যটক। উৎসবের মধ্য দিয়ে পাহাড়ে শান্তি সম্প্রীতির বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে আশা আয়োজকদের।  
পুরনো বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে বরণ করে নিতে খাগড়াছড়িতে মারমা সম্প্রদায়ের নববর্ষ বরণের উৎসব সাংগ্রাই শুরু হয়েছে। সকালে  জেলা সদরের পানখাইয়াপাড়া বটতলায় মারমাদের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই উৎসবের উদ্বোধন  করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। মারমা উন্নয়ন সংসদ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে মারমা সম্প্রদায়ের এ উৎসব শুরু  হয়।

নিজেদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য ও গান পরিবেশন করে মারমা শিল্পীরা। পুরনো বছরের গ্লানি দুঃখ মুছে যাবে সাংগ্রাই মৈত্রীর জলে এমন বিশ্বাস থেকে পানি খেলায় মেতে ওঠে মারমারা। এরপর শুরু হয় বর্ণাঢ্য র‌্যালি। বর্ণিল সাজে হাজারো তরুণ-তরুণীর র‌্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এ সময় তরুণ তরুণী, যুবক ও যুবতীরা সামনের দিনগুলোতে অনাবিল সুখ আর শান্তি কামনায় পানি খেলায় অংশ নেয়। বাঁধভাঙা উৎসবে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে মারমা তরুণ-তরুণীরা।
অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, খাগড়াছড়ি ডিজিএফআইর ডেট কমান্ডার কর্নেল আব্দুল্লাহ মো. আরিফ, খাগড়াছড়ি সদর জোন কমান্ডার লে, কর্নেল আবুল হাসনাত জুয়েল, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর ও খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরীসহ সরকারী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈসাবি উৎসবের মাধ্যমে পাহাড়ে সহাবস্থান নিশ্চিত হবে বলে প্রত্যাশা করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি ও সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান।
জলকেলি বা জলোৎসবে তরুণ-তরুণীরা একে অপরের দিকে পানি নিক্ষেপ করে উল্লাস প্রকাশ করে। মার্মা জনগোষ্ঠীর বিশ্বাস এই পানি উৎসবের মধ্য দিয়ে অতীতের সকল দুঃখ-গ্লানি ও পাপ ধুয়ে-মুছে যাবে।

সে সঙ্গে তরুণ-তরুণীরা একে অপরকে পানি ছিটিয়ে বেছে নেবে তাদের জীবন সংগীকে। এ ছাড়াও উৎসব উপলক্ষে নানা খেলা-ধুলা, পিঠা উৎসব, মারমাদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য ও ওপেন কনসার্টের আয়োজন করা হয়।
পাহাড়ে প্রাণের উৎসব বৈসাবি উপলক্ষে চলছে মারমা সম্প্রদায়ের বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা। আধুনিকতার ছোঁয়ায় যে সমস্ত খেলাধুলা হারিয়ে যাচ্ছে তা পুনরুদ্ধার ও টিকিয়ে রাখতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে আয়োজকরা।  এতে অংশ নিতে পেরে খুশি বিভিন্ন বয়সী মানুষ। 
জানায়ায়  খাগড়াছড়িতে মারমা জনগোষ্ঠীর হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলার মাধ্যমে নতুন বছর বরণের উদ্যোগ মারমা জনগোষ্ঠীর। মারমাদের  নতুন বছর বরণের সাংগ্রাই এর ২য় দিন (আকাইয়া ) এ দিনে তারা বিভিন্ন ধরনের সবজি সংগ্রহ করে পাচন তৈরির জন্য এ ছাড়া বাড়ি ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নসহ বয়োজ্যেষ্ঠর প্রণামসহ স্থান করিয়ে দেয়। সাংগ্রাই উপলক্ষে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের মারমা উন্নয়ন সংসদের পক্ষ থেকে সপ্তাহব্যাপী ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলার আয়োজন করা হয়।

মারমাদের  আলারী (খৈয়াৎ), ধ’ খেলা, রি আক্যাজা ও পানি খেলাসহ ১০ ধরনের খেলাধুলার আয়োজন করে তারা।  এতে অংশ নেন বিভিন্ন বয়সী মানুষ। এ ছাড়া বিভিন্ন পাহাড়ি পল্লীতে মারমা সম্প্রদায়ের লোকজনও ঐতিহ্যবাহী খেলায় অংশ নেয়।
খাগড়াছড়ি জেলা সদরে সুইচিং মারমা ও নুনুপ্রু মারমা জানান নিজেদের ঐতিহ্যবাহী খেলায় অংশ নিতে পেরে তারা খুশি।
মারমা উন্নয়ন সংসদ, কেন্দ্রীয় কমিটি খাগড়াছড়ির  সহ-সভাপতি ক্যাজরী মারমা জানান, আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাওয়া ও বিলুপ্তির পথে থাকা ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা ফিরিয়ে আনতেই এমন উদ্যোগ। তিনি আরও জানান মানুষ সচেতন হলে কোনো সংস্কৃতিই  হারিয়ে যাবে না। আজ  ১৬ এপ্রিল পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে মারমাদের শেষ হবে সাংগ্রাইয়ের সকল আনুষ্ঠানিকতা।
মোহাম্মদ আবদুর রহিম, বান্দরবান থেকে জানান, প্রতিটি ফোঁটাই হোক শান্তির দূত, পৃথিবী হোক শান্ত মৈত্রীময় জলধারায় এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বান্দরবানে শুরু হয়েছে মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় উৎসব মহা : সাংগ্রাই পোয়ে। বান্দরবানের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রাণের সামাজিক উৎসব সাংগ্রাইয়ের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ পানি বর্ষণ বা জলকেলি। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে আনন্দে মেতেছেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মারমা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা। সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় বান্দরবান শহরের রাজার মাঠ এলাকায় এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান হয়। 
ধর্মীয় গুরুরা জানায়, মারমা ভাষায় রি-লং পোয়ে: বা মৈত্রী পানি বর্ষণ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মধ্যে মারমা ও রাখাইন সম্প্রদায়দের একটি সামাজিক অনুষ্ঠান। গৌতম বুদ্ধের মূর্তিকে ¯œান করিয়ে সবার মধ্যে পবিত্রতার ছোঁয়া ছড়িয়ে দিতে মূলত এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া পুরনো বছরের গ্লানি, দুঃখ-কষ্ট এবং অশুভ শক্তিকে বিদায় জানিয়ে মৈত্রীজলে বন্ধন সৃষ্টি এবং নতুন বছরে মঙ্গল কামনা করায় হলো জলকেলির উদ্দেশ্য।

গ্রামে গ্রামে জলকেলির আয়োজন করেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মারমা তরুণ-তরুণীরা। 
জানা গেছে, পার্বত্য জেলা বান্দরবানের মারমা জনগোষ্ঠীর হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলার মাধ্যমে নতুন বছর বরণের উদ্যোগ নিয়েছে মারমা জনগোষ্ঠীর। মারমাদের নতুন বছর বরণের সাংগ্রাইয়ে জলকেলির পাশাপাশি তারা পাহাড় থেকে বিভিন্ন ধরনের সাক-জবজি সংগ্রহ করে পাচন তৈরির জন্য এ ছাড়া বাড়ী ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নসহ বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রণামসহ স্নান করিয়ে দেওয়া হয়। 
অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর সাংগ্রাই উপলক্ষে বান্দরবান জেলা সদরের রাজার মাঠে পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন করা হয়েছে। মারমাদের পানি খেলাসহ প্রয় ৬-৭ ধরনের খেলাধুলার আয়োজন করে তারা। এতে অংশ নেন বিভিন্ন বয়সী শত শত নারী ও পুরুষ। এ ছাড়া বিভিন্ন পাহাড়ি পল্লীগুলোতেও মারমা স¤প্রদায়ের লোকজনও ঐতিহ্যবাহী খেলায় অংশ নিতে দেখা গেছে। তরুণ-তরুণীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পহাড়ি অঞ্চলে একসময় তরুণ-তরুণীরা প্রিয় মানুষের সঙ্গে জলকেলিতে অংশ নিলেও এখন সামাজিকতায় আনন্দের জন্য যে কারোর সঙ্গে অংশ নেন মারমা তরুণ-তরুণীরা। 
মোহাম্মদ আলী, রাঙ্গামাটি থেকে জানান, উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে। নতুন বছরকে বরণ করে নিতে নানান আনুষ্ঠানিকতায় পালিত হয়েছে উৎসবটি। 
পাহাড়ের তরুণ-তরুণীরা খুব ভোরে গঙ্গা দেবীর স্মরণে নদীর স্বচ্ছ জলে উৎসর্গ করা হয়েছে ফুল। এটিকে বলা হয় ফুল বিজু। এ সময় হ্রদের জলে ফুল ভাসিয়ে প্রার্থনা করেন পাহাড়ের  আবাল বৃদ্ধা বণিতা সকলেই। 
ফুল ভাসাতে আসা ইন্টুমনি তালুকদার বলেন ওইদিন  রাঙ্গামাটি রাজবন বিহার ঘাটে আনুষ্ঠানিকভাবে ফুল নিবেদনের মধ্য দিয়ে বিজু, সাংগ্রাই, বৈসুক, বিষু, চাংক্রান, বিহু পাহাড়ের সর্ববৃহৎ সামাজিক উৎসবের সূচনা করা হয়েছে। ওইদিন শাহরের আসামবস্তি গর্জনতলী ও কেরানী পাহাড় এলাকায় পৃথক পৃথকভাবে কাপ্তাই হ্রদের জলে ফুল ভাসিয়েছে পাহাড়িরা।  
ফুল বিজু উপলক্ষে ওইদিন সকালে সূর্যদয়ের সঙ্গে সঙ্গে নৃ-তাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠীর নানা বয়সী তরুণ-তরুণীরা সকলে বন থেকে ফুল সংগ্রহ করে পুরনো বছরের সকল গ্লানি কাটিয়ে নতুন বছরের শুভ কামনায় এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় গঙ্গা দেবীর উদ্দেশ্যে কাপ্তাই হ্রদের জলে ফুল ভাসিয়েছে। 
রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান জেলায় বসবাসরত ক্ষুদ্র জাতিসত্তা মধ্যে এই উৎসবকে চাকমারা বলে বিজু, মারমাদের সাংগ্রাই, ত্রিপুরাদের বৈসু, তঞ্চঙ্গ্যাদের বিষু, ম্রোদের চানক্রান, খিয়াংদের সাংগ্রান, খুমীদের সাংক্রাই, অহমিয়াদের বিহুর আদ্যাক্ষর নিয়ে ‘বৈসাবি’ নামকরণ করা হয়েছে।  
এভাবেই ত্রিপুরা সম্প্রদায় প্রথম দিনকে ‘হারিকুইসুক’ দ্বিতীয় দিনকে ‘বুইসুকমা’ এবং তৃতীয় দিনকে ‘বিসিকাতাল’ নামে অভিহিত করে থাকে।
ফুল বিজুর দিনে ভোরে ঐতিহ্যবাহী পোশাক পড়ে পাহাড়ি তরুণ-তরুণীরা ঝুড়ি হাতে বাগান থেকে ফুল সংগ্রহ করে নদীতে ঝাঁক বেঁধে চলে গিয়ে ফুল ভাসায়। 
রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী বলেন, অন্যান্য বছরের চাইতে এ বছরটা ব্যতিক্রমধর্মী। এ বছর ঈদ, বিজু, সাংগ্রাই একসঙ্গে পড়েছে। উৎসবগুলো ঘিরে তিন পার্বত্য জেলা উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে। এইদিনে আমরা চাই সব সম্প্রদায়ের মাঝে সম্প্রতি গড়ে উঠুক।
পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে তিনদিনব্যাপী বৃহত্তর সামাজিক বৈসাবি উৎসব শুরু হয়েছে। এ উৎসবে একটি প্রার্থনা, আগামীতে যাতে ভালো থাকি, শান্তিতে থাকি এবং সারা বিশ্বের মানুষ যাতে ভালো থাকে এ প্রত্যাশা করছি।
উৎসবে ঐতিহ্যবাহী পাঁজন রান্না, নানান রকম পাহাড়ি চালের বাহারি পিঠাপুলি, ফলমূলসহ চলবে রসনাভোজন আয়োজন। পরিবেশিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।এটি যেন একটি দেখার বিষয়।

×