![বুড়িমারী এক্সপ্রেস উদ্বোধন কবে হবে বুড়িমারী এক্সপ্রেস উদ্বোধন কবে হবে](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2023May/nn-1-2402291636.jpg)
ঢাকা-বুড়িমারী রুটে চলাচলের জন্য আন্তঃনগর ট্রেন ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেস’ প্রস্তুত রাখা হয়েছিল
ঢাকা-বুড়িমারী রুটে চলাচলের জন্য আন্তঃনগর ট্রেন ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেস’ প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। উদ্বোধনের দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল। লালমনিরহাট স্টেশনে এসেছিল ট্রেনটির কোচ। হয়েছে ট্রায়াল রান। তবে গত বছরের ৩০ নভেম্বর উদ্বোধনের দিনক্ষণ নির্ধারিত হয়েও কোনো অদৃশ্য কারণে হয়নি, কবে হবে জানা নেই রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের। দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ নিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন লালমনিরহাটের মানুষ। বারবার সময় পিছিয়েও উদ্বোধন না হওয়ায় সেই আনন্দ স্থায়ী না হয়ে বিশাদে পরিণত হয়েছে।
জানা যায়, গেল বছর ৩০ নভেম্বর ছিল ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেস’ ট্রেনের উদ্বোধনের দিন। পরে দিন পরিবর্তন করে নির্ধারণ করা হয় ৬ ডিসেম্বর, ১৬ ডিসেম্বর নির্ধারিত হলেও উদ্বোধন হয়নি। সবশেষ নতুন বছরের ১ জানুয়ারি কথা থাকলেও বাজেনি ট্রেনটির হুইসেল।
জানা যায়,২০১১ সালের অক্টোবরে দহগ্রাম-আঙ্গোরপোতা ও তিনবিঘা কড়িডর পরিদর্শনে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুড়িমারী টু ঢাকা রুটে একটি আন্তঃনগর ট্রেনের প্রতিশ্রুতি দেন।
২০১৮ সালে তৎকালীন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক ও ২০২১ সালের নভেম্বরে সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন লালমনিরহাট, বুড়িমারী রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শনে এসে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা হবে বলে জনান। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির পর এক যুগে নানান আন্দোলন, বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপিসহ অর্ধশত মানববন্ধন করতে হয়েছে এ এলাকার মানুষের। এরপরেই দীর্ঘমেয়াদি প্রত্যাশার এই ট্রেনটি বুড়িমারী এক্সপ্রেস নামে প্রস্তুত করা হয়।
তবে চার দফায় উদ্বোধন হওয়ার কথা থাকলেও এখনো চালু হওয়ার খবর নেই রেলওয়ের কাছে। অপেক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে জেলাবাসীর অপেক্ষার প্রহর যেন তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে। ট্রেনটি চালু হলে এটি হবে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দেশের দীর্ঘতম রুট। এ ট্রেনে ভারত, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে রেলপথে যোগাযোগ তৈরি হবে।
লালমনিরহাট নদী ভাঙ্গা পরিষদের সভাপতি আব্দুল হান্নান জানান, ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেস আমাদের কাছে বহু আকাক্সক্ষার ট্রেন। এ ট্রেনকে নিয়ে আমরা উন্নয়নের স্বপ্ন দেখি। কিন্তু আজও এ ট্রেন উদ্বোধন হয়নি। আমরা হতাশার প্রহরে আছি, কবে ট্রেনটি আলোর মুখ দেখবে।
কালীগঞ্জ এলাকার খাইরুল ইসলাম জানান, ঢাকা যেতে হলে আমাদের ভরসা লালমনি এক্সপ্রেস, যাতে লালমনিরহাট স্টেশনে গিয়ে উঠতে হয়। এতে ভোগান্তি থেকেই যায়। সরাসরি কালীগঞ্জ থেকে উঠতে পারলে সময় অর্থ দুটোই বেঁচে যেত। কবে বুড়িমারী ট্রেন চলবে সেই আশায় আছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক রেলওয়ে কর্মকর্তা জানান, ওপর মহল থেকে লিখিত নির্দেশনা না আসায় চালুর বিষয়ে কোনো কথা বলা যাচ্ছে না। তারা বলছেন নির্দিষ্ট করে কবে চালু হবে তার কোনো লিখিত নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।
বুড়িমারী এলাকার ব্যবসায়ী রবিউল হাসান বলেন, ঢাকাসহ দক্ষিণাঞ্চলের এলাকা থেকে ব্যবসায়ীদের মূলত বাসেই যাতায়াত করতে হয়। সরাসরি বুড়িমারী থেকে ট্রেন চালু হলে ব্যবসায়ীদের সময় ও অর্থ বেঁচে যাবে। এতে অর্থনৈতিকভাবে আরও স্বাবলম্বী হবে জেলাটি। এতে বুড়িমারী স্থলবন্দর হয়ে ভুটান, নেপাল ও ভারতে যাতায়াতেও আমূল পরিবর্তন আসবে। তাই আমরা চাই, দ্রুত ট্রেনটি চালু করা হোক।
লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগীয় কমার্শিয়াল ম্যানেজার (ডিসিএম) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, লিখিত নির্দেশনা আসলে উদ্বোধন করা হবে। রুটের বিষয়ে ঢাকা থেকে লালমনিরহাট স্টেশন নির্ধারণ করা আছে। এখনো বুড়িমারী থেকে রুটের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত আসেনি।