মিষ্টির কারখানা
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলা শহরের বাস স্ট্যান্ড অবস্থিত বাপ্পি মিষ্টান্ন ও সাতক্ষীরা মিষ্টান্ন ভাণ্ডার। আলো ঝলমলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাচের শোকসে স্তরে স্তরে সাজানো রয়েছে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি। উপজেলার সর্ববৃহৎ এই দুই মিষ্টির দোকান থেকে বিভিন্ন ইউনিয়নের ক্রেতারা সর্বোচ্চ দাম দিয়ে মিষ্টি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন অহরহ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রতিদিন এই দোকান থেকে উপজেলা বাসির চাহিদার অধিকাংশ মিষ্টি সরবরাহ করা হয়। এই সমস্ত মিষ্টি তৈরি হয় যে কারখানাতে সেই কারখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি তৈরি হয় বলে দীর্ঘদিনের অভিযোগ স্থানীয়দের। মিষ্টির দোকানগুলো চকচক করলেও এর কারখানায় দেখা মিলবে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, দুর্গন্ধ ময়লা আবর্জনার স্তুপ স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ।
সরেজমিনে, ১০ ফেব্রুয়ারি জনকণ্ঠ সংবাদ মাধ্যম ওইসব কারখানাতে গেলে ১০ জন কর্মচারীর দেখা মেলে। মিষ্টি কি স্বাস্থ্যসম্মভাবে তৈরি করা হচ্ছে? এমন প্রশ্নের কোন উত্তর জানা নেই তাদের। তবে তারা স্বীকার করেন হাতে হ্যান্ডগ্লোভস এবং মাথায় ক্যাপ পরা দরকার। কারখানাগুলো বিআইপি কলোনির সরকারি পাবলিক টয়লেট ও ড্রেন সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের সরকারি জমি দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে।
কারখানার চারপাশে ও মধ্যে মশা মাছি পোকা মাকড় ভন ভন করছে। খোলা জায়গায় একপাশে দুধের তৈরি ছানা বিছিয়ে রাখা হয়েছে শুকানোর জন্য তার উপরে মশা মাছি বসে রয়েছে। টিনের পাত্রে মিষ্টি শিরা করে ভিজিয়ে রাখা হয়েছে শিরার সঙ্গে ভেসে রয়েছে মাছি। কোন পাত্রেই ঢাকনা দেয়া নেই। বাহিরের পাবলিক টয়লেট ও ড্রেনের ময়লার স্তূপের গন্ধ জীবাণু কারখানার ভিতরে প্রবেশ করছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান, ভেজাল বিরোধী অভিযানসহ বাজার মনিটরিং নানাবিধ অসঙ্গতিতে প্রশাসনিক মোবাইল টিম ভ্রাম্যমাণ আদালত সবসময়ই কাজ করছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও তথ্য পেলে অবশ্যই সেই সমস্ত স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এসআর