ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

খুলনায় তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস

প্রকাশিত: ২২:২৩, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩

খুলনায় তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

শত শত নারী-পুরুষকে বিভিন্ন স্থান থেকে ধরে এনে হত্যা করে এই সুইস গেট দিয়ে ভাসিয়ে দেওয়া হতো

খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা ইউনিয়নে বাড়িতে ঢুকে বিয়ের আশীর্বাদপ্রাপ্ত (বাগদান) সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার রাতে নগরীর কৈয়াবাজার সংলগ্ন গোলা গ্রামে এ ধর্ষণ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রধান অভিযুক্ত গোবিন্দ ফৌজদার (৩২) নামে এক যুবককে আটক করেছে। ভিকটিম কিশোরী ও তার মা-বাবাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে, পুলিশের ক্রাইম সিনের সদস্যরা ধর্ষণ সংঘটিত হওয়া ঘরটি সিল করে দিয়েছে।
প্রতিবেশী ভারতী মল্লিক ও উত্তম কুমার মল্লিক জানান, গোবিন্দ ফৌজদার নামে স্থানীয় এক যুবক প্রায় সময় মেয়েটিকে বিয়ের প্রস্তাবসহ নানাভাবে উত্ত্যক্ত করত। কিন্তু মেয়েটি তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় সে ক্ষুব্ধ হয়। পরে পরিকল্পিতভাবে সংঘবদ্ধভাবে তাকে ধর্ষণ ও তার বাড়িতে লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা জানান, ধর্ষণের শিকার মেয়েটির কিছুদিন আগে আশীর্বাদ (বাগদান) হয়েছে। কয়েকদিন পর তার বিয়ে হওয়ার কথা রয়েছে। মেয়েটির ছোট কাকা জানান, বাড়িতে ঢুকে দুর্বৃত্তরা চেতনানাশক দিয়ে সবাইকে প্রথমে অচেতন করে।

তারপর দাদার রুমের দরজায় বাইরে থেকে লক করে দেয়। পরে নিচতলায় নেমে মালামাল লুট করে। পুলিশ জানায়, সোমবার রাত ২টার দিকে তিন দুর্বৃত্ত গোলা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত এক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় তারা বাড়ির লোকজনকে জিম্মি করে প্রায় একঘণ্টা ধরে ওই সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার মেয়েকে ধর্ষণ করে। যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তরা বাড়ির স্বর্ণালঙ্কারসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে গোবিন্দ নামে একজন যুবক বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। প্রস্তাবে মেয়ের পরিববার রাজি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তিনজন মিলে ধর্ষণ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আটক গোবিন্দ ফৌজদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য দুই যুবককে গ্রেপ্তার করার জন্য অভিযান চলছে। এ বিষয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার মোজাম্মেল হক বলেন, ঘটনাটিকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি।

সিলেটে কিশোরী 
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ সিলেট শহরতলির পরগনা বাজারসংলগ্ন খুনীরচক এলাকায় এক কিশোরী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। অভিমান করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে গত রবিবার রাতে এই ঘটনার শিকার হয়। পরদিন সোমবার সকালে ভিকটিমকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়। 
এই ঘটনায় সোমবার রাতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহ পরাণ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। জানা যায়, রবিবার সন্ধ্যার পর সিলেট শহরতলির পীরের বাজারে বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিমান করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে ওই কিশোরী। সেখান থেকে পার্শ্ববর্তী পরগনা বাজারসংলগ্ন খুনীরচক এলাকায় পৌঁছামাত্র চার যুবকের খপ্পরে পড়ে। সেখানে যুবকরা তাকে তুলে নিয়ে নির্জন স্থানে রাতভর ধর্ষণ করে। সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করে। শাহ পরাণ থানার পরিদর্শক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য জানান, ধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিমকে ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে।

×