ঢাকা-কক্সবাজার, ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-রাজশাহী তিনটি রুটে আজ শুক্রবার থেকে চালু হচ্ছে তিনটি ট্রেন সার্ভিস
ঢাকা-কক্সবাজার, ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-রাজশাহী তিনটি রুটে আজ শুক্রবার থেকে চালু হচ্ছে তিনটি ট্রেন সার্ভিস। এর মধ্যে দু’টি আন্তঃনগর ও একটি কমিউটার ট্রেন। নতুন চালু হওয়া দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ দিয়ে আজ শুক্রবার থেকে ঢাকা-কক্সাবাজার রুটে চলাচল করবে নতুন আন্তঃনগর ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’। এ ছাড়া পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা-রাজশাহী রুটের আন্তঃনগর ট্রেন মধুমতি এক্সপ্রেস এবং ঢাকা-খুলনা রুটের নকশিকাঁথা কমিউটার ট্রেনটি শুক্রবার থেকে পুরাদমে চলাচল করবে বলে রেল সূত্র জানায়। এদিকে রেলওয়ের নতুন ওয়ার্কিং টাইম টেবিল (ডব্লিউটিটি) বা সময়সূাচ নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আজ শুক্রবার থেকে চালু করা হবে বলে রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানান।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, আজ বেলা সাড়ে ১১টায় কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে ঢাকা-কক্সবাজার রুটের আন্তঃনগর ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ট্রেন সার্ভিসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন রেল সচিব ড. মো হুমায়ুন কবীর। এ ছাড়া রাজধানীর কমলাপুর স্টেশন থেকে শুক্রবার রাত পৌনে ১০টায় ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া কক্সবাজার এক্সপ্রেসের যাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রেলওয়ে মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান। এক জোড়া ট্রেন দিয়ে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে চালু হবে নতুন আন্তঃনগর ট্রেন কক্সবাজার এক্সপ্রেস। ১৮টি কোচের এই ট্রেনটি প্রতিদিন রাত ১০টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর কমলাপুর স্টেশন থেকে ছেড়ে যাবে।
বিমানবন্দর ও চট্টগ্রাম স্টেশনে যাত্রাবিরতি দিয়ে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে কক্সবাজার স্টেশনে পৌঁছবে ট্রেনটি। একইভাবে দুপুর ১টায় কক্সবাজার স্টেশন ছেড়ে রাত ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছবে কক্সবাজার এক্সপ্রেস। ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথের দূরত্ব ৫৩৫ কিলোমিটার। এই রুটের সর্বনি¤œ ভাড়া ৫০০ টাকা ও সর্বোচ্চ ভাড়া ১ হাজার ৭২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন জনকণ্ঠকে বলেন, ‘ঢাকা-কক্সবাজার রুটে নতুন ট্রেনের নামকরণের জন্য ৬টি
নাম প্রস্তাব দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ নামটি চূড়ান্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। তাই আজ থেকে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ নামের নতুন আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এই রুটে দোহাজারী কমিউটার নামের একটি কমিউটার/মেইল ট্রেন চলাচল করবে। প্রথমদিকে শোভন ও এসি চেয়ার কোচ দিয়ে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ট্রেনটির চলাচল শুরু হবে। মাস খানিক পরে কেবিন কোচ চালু হবে। কারণ কোরিয়া থেকে নতুন কেবিন কোচ এখনো এসে পৌঁছায়নি।’
গত ১১ নভেম্বর দোহাজারী-কক্সাবাজার নতুন রেলপথের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই রেলপথের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলা নতুন করে রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত হলো। ঢাকা থেকে কক্সবাজারের মূল রেললাইনের দূরুত্ব ৪৩৯ কিলোমিটার। কিন্তু লুপ লাইনসহ এই রেলপথের দূরত্ব ৫৩৫ কিলোমিটার। ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে কক্সবাজার এক্সপ্রেসটি কোরিয়া থেকে আনা নতুন ১৮টি কোচ দিয়ে পরিচালনা করা হবে। প্রথমদিকে শুধু এসি ও শোভন চেয়ারে কোচ দিয়ে ট্রেনটি পরিচালনা করা হবে। পরবর্তিতে এসি কেবিন যুক্ত করা হবে। প্রথমদিকে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে এক জোড়া ট্রেন চলাচল করবে। ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা রুটে ট্রেনটির নম্বর ৮১৩/৮১৪। সিট সংখ্যা ৭৮০। ১৬/৩২ লোডের ট্রেনটির বন্ধের দিন ঢাকা থেকে সোমবার ও কক্সবাজার থেকে মঙ্গলবার।
ঢাকা-কক্সবাজারের সর্বনি¤œ ভাড়া ৫০০ টাকা : কক্সবাজার থেকে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত পথের দূরত্ব ৫৩৫ কিলোমিটার। এই পথে দ্বিতীয় সাধারণ শ্রেণির ট্রেনের ভাড়া ১২৫ টাকা, মেইল বা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া ১৭০ টাকা, কমিউটার ট্রেনের ভাড়া ২১০ টাকা, সুলভ শ্রেণির ভাড়া ২৫০ টাকা, শোভন শ্রেণির ভাড়া ৪২০ টাকা। আন্তঃনগর ট্রেনের শোভন চেয়ারের ভাড়া ৫০০ টাকা, প্রথম শ্রেণির চেয়ারের ভাড়া ৬৭০ টাকা, প্রথম বার্থ শ্রেণির ভাড়া ১ হাজার টাকা, স্নিগ্ধা শ্রেণির (এসি চেয়ার) ভাড়া ৯৬১ টাকা, এসি সিটের ভাড়া ১ হাজার ১৫০ টাকা এবং এসি বার্থ শ্রেণির ভাড়া এক হাজার ৭২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ভাড়া আদায়যোগ্য পথের দূরত্ব ১৮৯ কিলোমিটার। এই পথে দ্বিতীয় সাধারণ শ্রেণির ট্রেনের ভাড়া ৫৫ টাকা, মেইল বা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া ৭০ টাকা, কমিউটার ট্রেনের ভাড়া ৮৫ টাকা, সুলভ শ্রেণির ভাড়া ১০৫ টাকা, শোভন শ্রেণির ভাড়া ১৭০ টাকা, আন্তঃনগর ট্রেনের শোভন চেয়ারের ভাড়া ২০৫ টাকা, প্রথম শ্রেণির চেয়ারের ভাড়া ২৭০ টাকা, প্রথম বার্থ শ্রেণির ভাড়া ৪০৫ টাকা, স্নিগ্ধা শ্রেণির (এসি চেয়ার) ভাড়া ৩৮৬ টাকা, এসি সিটের ভাড়া ৪৬৬ টাকা এবং এসি বার্থ শ্রেণির ভাড়া ৬৯৬ টাকা।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে দুই জোড়া কমিউটার ট্রেন সার্ভিসও চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের কাজ শতভাগ শেষ না হওয়ায় আপাতত ঢাকা থেকে প্রতিদিন এক জোড়া ও চট্টগ্রাম থেকে এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে। রেক বা কোচ ও ইঞ্জিন পাওয়া সাপেক্ষে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে আরও এক জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালানো হবে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে।
রেলওয়ের নতুন সময়সূচি ॥ রেলওয়ের নতুন ওয়ার্কিং টাইম টেবিল (ডব্লিউটিটি) বা সময় সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজ কার্যকর করা হচ্ছে। নতুন সময়সূচিতে ট্রেনের ভ্রমণ সময় কমিয়ে আনা হয়েছে। পূর্বাঞ্চলের প্রায় সব ট্রেনের ভ্রমণ সময় সর্বনি¤œ ৫ মিনিট থেকে সর্বোচ্চ ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত কমিয়ে আনা হয়েছে। পূর্বাঞ্চলে ট্রেনের ভ্রমণ সময়ে বড় পরিবর্তন এলেও পশ্চিমাঞ্চল রেলের ট্রেনগুলোয় ভ্রমণ সময় তেমন পরিবর্তন হয়নি বলে রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানান।
রেলওয়ের সর্বশেষ ডব্লিউটিটি প্রণয়ন করা হয়েছিল ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি। ডব্লিউটিটি-৫২ চালুর পর দীর্ঘ তিন বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও নতুন সময়সূচি প্রণয়ন করতে পারেনি রেলওয়ে। কভিড-১৯-এর কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকা, রেলপথ উন্নয়নের চলমান প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে না পারায় নতুন সময়সূচি প্রণয়ন করা হয়নি। প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট সময়ে সময়সূচি প্রণয়নের কথা থাকলেও প্রায় চার বছর পর ডিসেম্বরের প্রথম দিন থেকে ডব্লিউটিটি-৫৩ চালু করতে যাচ্ছে রেলওয়ে পরিবহন বিভাগ। এটি চালু হলে ভ্রমণ সময় কমে যাওয়ার পাশাপাশি ট্রেনের সময়ানুবর্তিতা বাড়বে। এ ছাড়া প্রত্যেকটি কোচ/ইঞ্জিনের সক্ষমতার বাড়তি ব্যবহার কিংবা বিশ্রাম দেওয়া সম্ভব হবে বলে কর্মকর্তারা জানান।
রেলওয়ে পরিবহন বিভাগ প্রবর্তিত ডব্লিউটিটি-৫৩ অনুসারে, পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বেশি ভ্রমণ সময় কমছে পূর্বাঞ্চলের উপবন এক্সপ্রেস, মহানগর গোধূলি, মহানগর প্রভাতী, হাওড় এক্সপ্রেস, তূর্ণা এক্সপ্রেস, চট্টলা এক্সপ্রেস, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, উপকূল এক্সপ্রেস, মহানগর এক্সপ্রেস, মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, পাহাড়িকা এক্সপ্রেস, সুবর্ণ এক্সপ্রেস, সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের। এ ছাড়া লোকাল ও কমিউটার ট্রেনেরও সময় কমিয়ে আনা হয়েছে। পূর্বাঞ্চলের ২৪ জোড়া ট্রেনের (উভয় পথে ৪৮টি ট্রেন) সর্বনি¤œ ৫ মিনিট থেকে সর্বোচ্চ ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ভ্রমণ সময় কমানো হয়েছে। অন্যদিকে পশ্চিমাঞ্চলের ২৮ জোড়া ট্রেনের আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর মধ্যে সময় কমনো হয়েছে ৫-১০ মিনিট। পশ্চিমাঞ্চলের লাইনগুলো সিঙ্গেল হওয়ায় নতুন সময়সূচিতে ভ্রমণের সময় তেমন একটা কমানো হয়নি বলে কর্মকর্তারা জানান।
ট্যুরিস্টদের জন্য ‘কক্সকার’ চালু ॥ স্টাফ রিপোর্টার জানান, কক্সবাজারে শুক্রবার সকাল থেকে ট্রেনযাত্রীদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে কক্সকার। ট্রেন যাত্রী স্থানীয়রা বিশেষ করে পর্যটকদের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে রাখা হয়েছে এ ব্যবস্থা। নিরাপদ যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে এই কক্সকার। যানবাহন সুবিধার পরিকল্পিত ব্যবহারের মাধ্যমে হয়রানিমুক্ত পর্যটন সেবা নিশ্চিতকল্পে জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ নতুন করে ‘কক্স-কার’ নামে একটি সার্ভিস চালু করেছে।
সূত্র জনায়, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার আগ্রহে কক্সবাজারকে সাজানো হয়েছে উন্নয়নের সোপান হিসেবে।
ট্রেনে করে কক্সবাজারে আসা পর্যটকদের নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় ভ্রমণ নিশ্চিত করতে নানা পরিকল্পনা নিয়েছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। বিদ্যমান যানবাহন সুবিধার পরিকল্পিত ব্যবহারের মাধ্যমে হয়রানিমুক্ত পর্যটন সেবা নিশ্চিতকল্পে জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ নতুন করে ‘কক্স-কার’ নামে একটি সার্ভিস চালু করতে যাচ্ছে। চালক ও যাত্রীদের আস্থা নির্ভরতার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে অনলাইন ভিত্তিক এই উদ্যোগ। এমন কথা জানান কক্স-ক্যারের উদ্যোক্তা কক্সবাজার ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন।
কক্স-ক্যাবের ওয়েবসাইটে (www. coxscab.com) ওয়ান-স্টপ ট্যুরিস্ট সার্ভিসে রয়েছে হোটেল মোটেল ও রিসোর্টের তালিকা এবং কক্সবাজার শহরের নামকরা রেস্টুরেন্টের তালিকাও। রয়েছে পর্যটন নগরীর প্রধান বাহন ইজিবাইক টমটমের পৌরসভা কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা।
রাজবাড়ী টু ঢাকা ১২৫ টাকা ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, জেলার ওপর দিয়ে আজ ১ ডিসেম্বর থেকে আরও দুটি ট্রেন পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ঢাকা যাবে। সাধারণ মানুষের চাহিদা চিন্তা করে একটি লোকাল ট্রেনও রয়েছে। সব মিলিয়ে রাজবাড়ী হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে বিভিন্ন সময়ে দিন-রাতে ৪টি ট্রেন ঢাকায় যাবে। মধুমতি এক্সপ্রেস ও নকশীকাঁথা মেল ট্রেন দুটি রাজবাড়ীর ওপর দিয়ে আগে থেকেই চলাচল শুরু করেছে।
জানা যায়, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা নকশীকাঁথা মেল ট্রেন রাজবাড়ী স্টেশন থেকে ছাড়বে সকাল ৬টা ২০ মিনিটে। এই ট্রেনটি রাজবাড়ী জেলার মাছপাড়া স্টেশনে ৫.১১ মিনিট, পাংশা ৫.২৫ মিনিট, কালুখালী জংশন ৫.৪৫ মিনিট, বেলগাছি ৫.৫৬ মিনিট, পাচুরিয়া জংশন ৬.৪০ মিনিট ও খানখানাপুর থেকে ৬.৫০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। ফিরতি ট্রেন ঢাকা থেকে ছাড়বে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে।
এই ট্রেনে রাজবাড়ী-ঢাকা শোভন শ্রেণির ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১২৫ টাকা মাত্র। যেখানে বাসে ঢাকা যেতে সর্বনিম্ন ভাড়া লাগে ২৯০ টাকা। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বান্না এক্সপ্রেস এই ট্রেন পরিচালনা করে। তারা স্টেশনে স্টেশনে কাউন্টার বসিয়ে ম্যানুয়ালি টিকিট বিক্রি করে। এই ট্রেনের টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাবে না। এদিকে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা মধুমতি এক্সপ্রেস ঢাকা পৌঁছাবে দুপুর ২টায়। এটি কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে যাবে সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে। এর ফিরতি ট্রেন ঢাকা থেকে বিকাল ৩টায়।
উল্লেখ্য, গত একমাস ধরে রাজবাড়ীর ওপর দিয়ে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা চলাচল করছে সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস। এ দুই ট্রেনে সন্ধ্যা ও মধ্যরাতে ঢাকার উদ্যেশ্যে যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসে সকালে ও দুপুরে।
বুকিং ইনচার্জ মো. সাইদুজ্জামান বলেন, এ সকল ট্রেনের টিকিটের চাহিদা অনেক। অনেকে সিট না পেয়ে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন। প্রতি ট্রেনে অর্ধশতাধিক স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি হচ্ছে।