
চট্টগ্রামের চন্দনাইশে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর ধান রোপণে ব্যস্ত কৃষক
শস্যভান্ডার’ খ্যাত চন্দনাইশের দোহাজারী শঙ্খ তীরবর্তী এলাকা। সম্প্রতি পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় ১ হাজার ২শ’ হেক্টর আউশ, ১৫ হেক্টর আমন, ৪৫০ হেক্টর আমন বীজতলা, ১ হাজার ৪০ হেক্টর সবজির ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। অনাবৃষ্টির পর অতিবৃষ্টিতে বন্যার কারণে ধাক্কা লাগে আউশ-আমনের চাষাবাদে। সাম্প্রতিক বন্যায় আমনের বীজতলায় ৪৫০ হেক্টর জমির ব্যাপক ক্ষতি এবং বাকি ২০ শতাংশ জমি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি কৃষকদের। তবে বন্যার এই ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন চন্দনাইশের হাজার হাজার কৃষক। বন্যায় রোপা আমন নষ্টের পর ফের জমি প্রস্তুত করে নতুন চারা লাগাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আজাদ হোসেন বলেছেন, সময়মতো বৃষ্টির দেখা না মেলায় অনেক কৃষক সেচ পাম্প দিয়ে আমন চারা লাগিয়েছিলেন। এর পর বন্যা শুরু হলে তারা ক্ষতির মুখে পড়েন। তবে বন্যা চলাকালীনই কৃষকদের দিয়ে আবারও বীজতলা তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন বলে জানান। প্রথমদিকে অনাবৃষ্টির কারণে আউশ চাষাবাদ না হওয়ায় আগাম চলতি আমন মৌসুমের চাষাবাদ শুরু হয়েছিল। কিন্তু বন্যার কারণে তা আবার পিছিয়ে যায়। চন্দনাইশে চলতি মৌসুমে ৫ হাজার ২৪৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।