কুমিল্লার তিতাসে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ
দাউদকান্দিতে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন হত্যাকা-ে জড়িত আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত থেকে রবিবার পর্যন্ত ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া পুলিশ দুর্বৃত্তদের ব্যবহৃত গাড়ি, জুতা, বোরকা ও হিজাব জব্দ করেছে। সোমবার দুপুরে কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হচ্ছে আসামিদের বহন করা গাড়িচালক জেলার তিতাস উপজেলার লালপুর গ্রামের সামছুল হকের ছেলে মো. সুমন হোসেন (২৭), একই উপজেলার জিয়ারকান্দি গ্রামের মৃত কালু মিয়ার ছেলে মো. রবি (৩৩) ও মৃত আসাদ মিয়ার ছেলে মো. শাহপরান (৩৪)। গ্রেপ্তার ওই তিনজন হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িতদের পরিবহন, ভিকটিমের অবস্থান ও বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য দেওয়া এবং আসামিদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছে। এর আগে শনিবার দিনে-রাতে র্যাব-১১ এর একাধিক টিম ঢাকা ও চট্টগ্রামে অভিযান পরিচালনা করে এ মামলার এজাহারনামীয় তিন আসামি মো. ইসমাইল, সোহেল শিকদার ও শাহআলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এ নিয়ে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন হত্যাকা-ের ঘটনায় র্যাব এজাহারনামীয় তিন আসামিকে এবং পুলিশ এজাহার বহির্ভূত তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান আরও বলেন, আসামিদের বহন করা গাড়ির চালক গ্রেপ্তার মো. সুমন হোসেনের দেওয়া তথ্যমতে আসামিদের ব্যবহৃত একটি কালো হাইয়েস গাড়ি গৌরীপুরের হাট চান্দিনা এলাকার তার ভাড়া বাসার পাশর্^বর্তী খালি জায়গা থেকে জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া চালক সুমনের ভাড়া বাসায় তল্লাশিকালে তার দেখানো মতে দুর্বৃত্তদের ব্যবহৃত দুই জোড়া ক্যানভাস জুতা ও ঘটনার সময় তার ব্যবহৃত একটি টাউজার জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামি মো. রবির দেওয়া তথ্যমতে একটি কালো বোরকা ও হিজাব জব্দ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার ৬ আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
জেলা ডিবির ওসি রাজেশ বড়ুয়া জানান, গ্রেপ্তার ছয় আসামির মধ্যে আদালত পাঁচজনের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। গ্রেপ্তার গাড়িচালক সুমন হোসেন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
