ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বালু উত্তোলন

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম 

প্রকাশিত: ১৭:৫২, ২১ মার্চ ২০২৩

নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বালু উত্তোলন

বালু উত্তোলন 

কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিভিন্ন এলাকা থেকে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নদ-নদী, পুকুর, খাল-বিল ও জলাশয় থেকে এসব বালু তোলা হচ্ছে। এর ফলে পার্শ্ববর্তী রাস্তা ও জমিতে ভাঙণের সৃষ্টি হচ্ছে, তেমনি স্থানীয় পরিবেশ ও প্রতিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এর জন্য প্রশাসনের উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন পরিবেশকর্মীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বজরা ইউনিয়নের সাদুয়াদামার হাট সরদার পাড়ায় বিরোধপূর্ণ পুকুরে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন একই এলাকার বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী। অবসরপ্রাপ্ত তশিলদার আইনুল হক সরদার ও অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক আলমগীর হোসেন সরদার বলেন, আমাদের নিজস্ব পুকুর ডেজার মেশিন বসিয়ে আমারা বালু উত্তোলন করছি। বালু উত্তোলন শেষ হলে আমরা মাছ চাষ করবো। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষ গত বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।

এদিকে থেতরাই ইউনিয়নের টোপের ছড়া বিলে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা দীর্ঘদিন থেকে বালুর ব্যবসা চালিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনে লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা’ জানান আমার বালু আমি তুলছি, আপনারা যা খুশী তাই লিখতে পারেন। 

উপজেলার বজরা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর সাদুয়াদামার হাট গাছবাড়ি, চর বজরা, গুনাইগাছ ইউনিয়নের নাগড়াকুড়া, তবপুর ইউনিয়নের বামনাছড়া, হাতিয়া ইউনিয়নের অনন্তপুর সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে যত্রতত্র ভূগর্ভস্থ থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। যার ফলে এই এলাকার পরিবেশের- ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে বলে পরিবেশকর্মীরা বলছে। 

রেল, নৌ-যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি উলিপুর উপজেলা শাখার সভাপতি আপন আলমগীর বলেন, ভূগর্ভস্থ থেকে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ। অথচ যত্রতত্র ভূগর্ভস্থ থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বালু উত্তোলনের ফলে পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। রাস্তা, বসতভিটা ও কৃষি জমিতে ভাঙনের সৃষ্টি হচ্ছে। শব্দ দূষণের ফলে বালু উত্তোলনের জায়গার আশপাশের প্রাণিকূলের আবাসস্থল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরজন্য তিনি স্থানীয় প্রশাসনকে দায়ী করেন।
   
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোভন রাংসা বলেন, যেখান থেকে অভিযোগ কিংবা খবর পাওয়া যাচ্ছে সেখানেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। উপজেলার কোথাও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতে দেয়া হবে না।                                              
 

এমএস

×