ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মোংলা বন্দরে আমদানিকারকের মামলায় আটকা দুই জাহাজ

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট

প্রকাশিত: ২০:১১, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

মোংলা বন্দরে আমদানিকারকের মামলায় আটকা দুই জাহাজ

বন্দরে আটকে আছে জাহাজ

মোংলা বন্দরে পানামা পতাকাবাহী কয়লা বোঝাই দুই জাহাজ আমদানিকারকের করা মামলায় আটকে আছে। আদালতের নির্দেশনার কারণে জাহাজ দুটিকে বন্দর ত্যাগ করার অনুমতি প্রদান করতে পারছে না বন্দর কর্তৃপক্ষ। 

‘এমভি সানবাল্ক’ ও ‘এমভি ইউনিভার্সি প্রোসটার্টি’ নামের জাহাজ দুটিতে ৫১ হাজার ২৪৩ মেট্রিকটন কয়লা রয়েছে। জয়েন্ট ট্রেডিং কর্পোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই কয়লা আমদানি করেছেন। আদালতে মামলার বিষয়টি নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জাহাজগুলো বন্দরে থাকবে বলে জানিয়েছেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিদেশি জাহাজে কয়লা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান জয়েন্ট ট্রেডিং কর্পোরেশনের মালিক আনিসুর রহমান বলেন, ‘জাহাজ মালিক এবং জাহাজ ভাড়াকারী কোম্পানির দ্বন্দ্বের কারণে আমদানি করা কয়লা নির্ধারিত সময়ে মোংলা বন্দরে আসেনি। এছাড়া জাহাজে থাকা কয়লার গুণগত মান নষ্ট রয়েছে। এই কয়লার বাজারমূল্য হ্রাস পেয়েছে। ফলে আমাদের প্রতিষ্ঠান আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে আমরা ক্ষতিপূরণ চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করেছি। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সোমন জারি করেছেন।’

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ‘এমভি সানবাল্ক’ নামের জাহাজটি ২৭ হাজার ২৪৩ মেট্রিকটন কয়লা ৭ জানুয়ারি বন্দরের হারবাড়িয়ায় নোঙর করেছে। পরবর্তীতে কয়লাগুলো পুরোপুরি খালাস করা হয়েছে। ‘এমভি ইউনিভার্সি প্রোসটার্টি’ নামের জাহাজটি ২৪ হাজার মেট্রিকটন কয়লা নিয়ে ২৫ জানুয়ারি বন্দরে ভিড়লেও মামলা জটিলতায় খালাস শুরু হয়নি।

বিদেশি জাহাজ দুটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট মেসার্স কসমসের খুলনার ব্যবস্থাপক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এমভি সানবাল্ক’ জাহাজে আসা ২৭ হাজার ২৪৩ মেট্রিকটন কয়লা পুরোপুরি খালাস করা হয়েছে। কিন্তু মামলার কারণে ‘এমভি ইউনিভার্সি প্রোসটার্টি’ জাহাজ থাকা কয়লার খালাস প্রক্রিয়াই শুরু হয়নি।

তিনি বলেন, ‘গত ৪ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার একটি বন্দর থেকে এই কয়লা বোঝাই করতে জাহাজ দুটি সেখানে যায়। কিন্তু এর মধ্যে জাহাজ মালিক ও জাহাজ ভাড়াকারী কোম্পানির (চার্টারার) মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় দেড় মাস পরে ওই বন্দর থেকে কয়লা বোঝাই করে জাহাজগুলো মোংলা বন্দরে আসে। এতে কয়লা আমদানিকারকরা ক্ষতির মুখে পড়েন।’

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ বলেন, ‘জাহাজ দুটির ব্যাপারে গেল ৬ ফেব্রুয়ারি আদালতের একটি নির্দেশনা আসে। আমরা আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী জাহাজ দুটিকে বন্দরে অবস্থান করতে বলেছি। তাদেরকে বন্দর ত্যাগের অনুমতি প্রদান করা হয়নি। আদালতের পক্ষ নির্দেশনা পেলে আমরা জাহাজ দুটিকে বন্দর ত্যাগের অনুমতি প্রদান করব।’

 

এমএইচ

×