
গ্যাস না পাওয়ায় অলস বসে রয়েছে সিএনজি চালকরা
হবিগঞ্জে ফিলিং স্টেশনগুলোতে গ্যাসের সংকট দেখা দিয়েছে। এ কারণে প্রায় ১৪ হাজার সিএনজি অটোরিক্সার চালক বিপাকে পড়েছেন। আর এতে যাত্রীদেরও গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। ফিলিং স্টেশনে এক মাসের জন্য বরাদ্দ পাওয়া গ্যাস নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বিক্রি হয়ে যাওয়ায় এমনটা হয়েছে।
শুক্রবার থেকে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে হবিগঞ্জ শহরের বহুলা এলাকার এম হাই অ্যান্ড কোং। এর ফলে হবিগঞ্জ সদর, লাখাই, শায়েস্তাগঞ্জ, বানিয়াচং, আজমিরীগঞ্জ ও নবীগঞ্জ উপজেলায় চলাচলকারী অটোরিকশাগুলো গ্যাস পাচ্ছে না।
একই অবস্থা মিরপুর ফিলিং স্টেশন, মাধবপুরের আল আমিন ফিলিং স্টেশন ও সেমকোসহ ৭টি ফিলিং স্টেশনেরও। তারা আনুষ্ঠানিক বন্ধের ঘোষণা না দিলেও গ্যাস সরবরাহ করতে পারছে না।
এম হাই অ্যান্ড কোং ফিলিং স্টেশন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, শত শত অটোরিক্সার চালক লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা আসায় তাদের চোখেমুখে হতাশা।
অটোরিক্সার চালক তারেক আহমেদ বলেন, এক সপ্তাহ গ্যাস পাব না। রুটিরুজি বন্ধ থাকবে। কিভাবে পরিবার পরিচালনা করব বুঝতেছি না।
আরেক চালক কাজল মিয়া জানান, গ্যাসের সংকট চলছে। এজন্য নিয়মিত লাইনে গাড়ি চালানো যাচ্ছে না। আয়-রোজগার কমে যাওয়ায় তিনি বিপাকে পড়েছেন।
শায়েস্তাগঞ্জ-হবিগঞ্জ, বানিয়াচং-হবিগঞ্জ রোডে চলাচলকারী অটোরিক্সাগুলোতে যাত্রীদের কাছে থেকে দ্বিগুণ ভাড়া নিতে দেখা গেছে। এ কারণে যাত্রী ও চালকদের মধ্যে প্রায়ই বাকবিতন্ডা হচ্ছে।
জানা গেছে, জেলায় ফিলিং স্টেশন রয়েছে ৮টি। এর মধ্যে ৭টি ফিলিং স্টেশনই চলতি মাসের জন্য বরাদ্দ পাওয়া গ্যাস শুক্রবারের মধ্যে বিক্রি করে ফেলেছে। এ জন্য ফেব্রুয়ারি মাস শুরু হওয়ার আগে তারা আর গ্যাস বিক্রি করতে পারবেন না।
সিএনজি অটোরিক্সা সমিতির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা জানিয়েছেন, জেলায় রেজিস্ট্রেশন করা প্রায় ৯ হাজার ও রেজিস্ট্রেশনবিহীন আরও ৫ হাজার সিএনজি অটোরিক্সা আছে। জেলার ৮টি ফিলিং স্টেশনের মধ্যে সাতটিতেই সরবরাহ বন্ধ থাকায় চালকরা এখন বেকার। কেউ কেউ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এলপিজি দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন। এ কারণে তারা অনেকটা বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন।