ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

চিলমারীতে মৃত্যু ফাঁদে পরিনত হয়েছে একাধিক ব্রীজ 

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম

প্রকাশিত: ২০:৫৪, ২১ নভেম্বর ২০২২

চিলমারীতে মৃত্যু ফাঁদে পরিনত হয়েছে একাধিক ব্রীজ 

ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজ

কুড়িগ্রাম জেলার নানা উন্নয়ন হলেও এখনও পিছিয়ে আছে জেলার চিলমারী উপজেলা।  এখানকার বছরের পর বছর পার হলেও ব্রীজ গুলো হয়নি মেরামত বা তৈরি হয়নি নতুন কোন সেতু, ব্রীজ বা কালভাট। 

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে লক্ষ লক্ষ মানুষ। দুর্ভোগ আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও নজর নেই কর্তৃপক্ষের। হতাশায় সাধারন মানুষ।

জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার বেশ কয়েকটি সেতু ও ব্রীজ কাজে আসছে না উল্টো একাধিক ব্রীজ জনগনের দুর্ভোগের কারন ও পরিনত হয়েছে মৃত্যু ফাঁদে। বছরের পর বছর পাড় হলেও হয়নি সংস্কার নজর যেন পড়েনি কর্তৃপক্ষের। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকলেও চিলমারী যেন পিছিয়ে এই জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় প্রশাসনসহ জনপ্রতিনিধিদের দায়ি করছেন এলাকাবাসী। 

উপজেলার পাত্রখাতা সাববাধঁ এলাকায় প্রায় ৫ বছর আগে জনকল্যানে নির্মান হয় একটি ব্রীজ। সেটি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের তত্ত্বাবধানে নির্মান হয়। ব্রীজটি নির্মানের কয়েক মাসের মাথায় ভেঙ্গে পড়ে আর দুর্ভোগে পড়ে কয়েক হাজার মানুষ। ব্রীজটি বর্তমানে এলাকাবাসীর নিকট মরন ফাঁদ হিসাবে পরিনত হয়েছে। 

সাময়িক ভাবে চলাচলের জন্য সেখানে একটি কাঠের সাকো নির্মান করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান। এলাকার রহিমা, নুরু বলছেন ব্রিজটি আমাদের বিপদের কারন। শাহিদা বলেন, যে ব্রীজ দিয়েছ তা তো সেই বছরেই ভেঙ্গে গেছে এখন তো ব্রীজে উঠতে কাঠের সাকো ব্যবহার করা লাগে। 

এই ব্রীজের সামনে আসলে ভয় হয় জানিয়ে শিক্ষার্থী সুরুজ ইসলাম বলেন, শতশত শিক্ষার্থী এই পথ দিয়ে যাতায়াত করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। একই এলাকার পাত্রখাতা প্রবেশের প্রধান সড়কের ব্রীজটি প্রায় ১যুগ থেকে ঝুঁকিপূর্ন হয়ে আছে। প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। ব্রীজটি প্রায় ১যুগ থেকে মরন ফাঁদে পরিনত ও বারবার দুর্ঘটনা ঘটলেও কর্তৃপক্ষ নিরব। 

একই অবস্থা রানীগঞ্জ ইউনিয়নের নয়াবস এলাকায়। সেখানেও প্রায় ৫বছর আগে একটি ব্রীজ নির্মান করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস। সেটিও নির্মানের পর বন্যার পানির তোড়ে উল্টে যায় এবং তখন থেকে যোগাযোগ বন্ধ হওয়ায় বন্যায় সময় ভেলা বা নৌকা আর শুকনা মৌসুমে অন্যের জমি দিয়ে দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে চলাচল করতে হয় কয়েক হাজার মানুষকে। 
এলাকাবাসী দ্রুত একটি নতুন ব্রীজ এবং সড়ক সংস্কারের দাবি জানান। উপজেলার প্রাণ কেন্দ্র বালবাড়ি হাট থেকে সাদুল্লাহ যাওয়ার পথেই খালের উপর নির্মিত ব্রীজটি কয়েক বছর থেকে মৃত্যু কূপে পরিনত হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ (এলজিইডি) যেন রয়েছে ঘুমিয়ে। ব্রীজটি দিয়ে লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াত। 

প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়েই হচ্ছে পাড়াপাড়। চিলমারী ইউনিয়নের গাজির পাড়া এলাকায় যাতায়াতে পথে নির্মান হয় একটি ব্রীজ প্রায় ৫বছর আগে। ব্রীজটি নির্মানের পর থেকে কাজে আসছে না জনকল্যানে। ভরাট হয়নি দু’পাশের মাটি। বর্ষার সময় কষ্ট করে পাড়াপাড় হলেও শুকনা মৌসুমে ব্রীজের নিচ দিয়েই চলাচল করে এলাকাবাসী। বেশকিছু শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের স্কুল আসতে অনেক অসুবিধা হয় মাটি না থাকায় ব্রীজে উঠতে সমস্যা হয়। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, জনগনের দুর্ভোগ দুর করতে সকল চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
 

এমএস

সম্পর্কিত বিষয়:

×